নিলামে ভিত্তিমূল্য ছিল ২ কোটি রুপি বা প্রায় ২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা (১.৪২ টাকা হারে)। কিন্তু নিলামে কোনো দলই মুস্তাফিজুর রহমানকে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ কপাল খুলে দেয় টাইগার বাঁ হাতি পেসারের। যুদ্ধ বন্ধের পর শনিবার ফের শুরু হচ্ছে আইপিএল। এবার তাকে রেকর্ড ৬ কোটি রুপি বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮ কোটি ৫২ লাখ টাকায় দলভুক্ত করেছে দিল্লি ক্যাপিটালস। আইপিএলে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক মুস্তাফিজের। ২০০৯ সালে ৬ লাখ মার্কিন ডলারে মাশরাফি বিন মর্তুজাকে কিনেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। মুস্তাফিজ এর আগে ২০২২ ও ২০২৩ সালে দিল্লির পক্ষে খেলেছিলেন। এ ছাড়া তিনি খেলেছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, মুম্বাই ইন্ডিয়ানস, রাজস্থান রয়্যালস ও চেন্নাই সুপার কিংসের পক্ষে।
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ শুরুর পর বন্ধ হয়ে যায় আইপিএল। দুই প্রতিবেশীর যুদ্ধ এখন নেই। পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) ফের শুরু করছে আইপিএল। শনিবার মাঠে গড়াচ্ছে আইপিএল। বিদেশি ক্রিকেটাররা খেলতে ফিরছেন। অবশ্য কয়েকজন বিদেশি ক্রিকেটার ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে খেলতে আসছেন না জানিয়েছেন। চেন্নাই সুপার কিংসের ইংলিশ ক্রিকেটার জেমি ওভারটন সবার আগে নাম প্রত্যাহার করেন। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তার দেখানো পথে হাঁটেন দিল্লি ক্যাপিটালসের অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার জ্যাক ফ্রেসার ম্যাকগার্ক। তার অনুপস্থিতিতে দিল্লি ক্যাপিটালস কর্তৃপক্ষ দলভুক্ত করে মুস্তাফিজকে। আইপিএল বন্ধ হওয়ার আগে দিল্লির পয়েন্ট ছিল ১১ ম্যাচে ৬ জয়ে ১৩। অবস্থান পাঁচে। দলভুক্ত হলেও মুস্তাফিজের খেলা এখনো নিশ্চিত নয়। বিসিবি এখনো অনুমতি দেয়নি তাকে। লিগ পর্বের খেলা বাকি আরও তিনটি। মূল একাদশে খেলতে মুস্তাফিজের প্রতিদ্বন্দ্বী দুই বাঁ হাতি পেসার মিচেল স্টার্ক ও থাঙ্গারাসু নটরাজন। স্টার্কের ফেরা নিশ্চিত নয়। আইপিএল শুরু ১৭ মে। দিল্লির ম্যাচ ১৮ মে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে। মুস্তাফিজকে নিলেও খেলাতে পারবে কি না নিশ্চিত নয়। কারণ সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ১৭ ও ১৯ মে দুটি টি-২০ ম্যাচের বাংলাদেশ স্কোয়াডে রয়েছেন মুস্তাফিজ। খেলা দুটি হবে শারজাহতে। আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে গতকাল তার ঢাকা ছাড়ার কথা।