কুয়েত কয়েক দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো বড় ধরনের ভিসা সংস্কারের ঘোষণা দিয়েছে। নতুন নীতির ফলে বিশ্বের প্রায় সব দেশের নাগরিকদের জন্য দেশটিতে প্রবেশের সুযোগ সহজ হবে। তবে গাজায় হামলা ও দখলের কারণে ইসরায়েলের নাগরিকরা এ সুবিধা পাবেন না।
‘কুয়েত ভিসা প্ল্যাটফর্ম, নতুন প্রবেশ ভিসা’ শীর্ষক উপস্থাপনায় জেনারেল ডিপার্টমেন্ট অব রেসিডেন্সির কর্নেল আব্দুল আজিজ আল কান্দারি চার-স্তরের ভিসা ব্যবস্থার রূপরেখা তুলে ধরেন।
সংশোধিত কর্মসূচিটি ‘কুয়েত ভিসা’ প্ল্যাটফর্মের আওতায় আবেদনেও সহজিকরণ করা হয়েছে। এই ব্যবস্থাটি যোগ্যতা, জাতীয়তা এবং পেশা অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে। চার ধরনের ভিসার বিবরণ তুলে ধরা হলো-
সীমাবদ্ধ প্রবেশাধিকার (৫২টি দেশ)
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইইউ/শেনজেন রাজ্য, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়ার পাসপোর্টধারীরা ছয় মাসের পাসপোর্ট বৈধতার বাইরে অতিরিক্ত প্রয়োজনীয়তা ছাড়াই ভিসা পেতে পারেন।
জিসিসির বাসিন্দা এবং পেশাদাররা
উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের দেশগুলোর বাসিন্দারা এবং দেশগুলোর আর্থিক সচ্ছলতা সম্পন্ন পেশাদাররা বৈধ বসবাসের প্রমাণ দেখাতে পারলে এবং পাসপোর্টের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করলে ভিসা পাবেন।
আর্থিক সচ্ছলতা রুট (বাস্তবায়ন মুলতুবি)
তালিকাভুক্ত নয় এমন দেশগুলোর দর্শনার্থীরা ব্যাংক স্টেটমেন্ট, হোটেল বুকিং এবং ফেরতযোগ্য নিরাপত্তা জমার মাধ্যমে আর্থিক সক্ষমতা প্রদর্শন করে আবেদন করতে পারেন।
ইভেন্ট-নির্দিষ্ট ভিসা
আন্তর্জাতিক সম্মেলন এবং স্থানীয় ইভেন্টগুলোর জন্য কেস-বাই-কেস সামঞ্জস্য করে ভিসা প্রদান করা হবে।
প্রবেশের বিভাগ এবং সময়কাল
পর্যটন ভিসা: একক-প্রবেশ (১-৩ মাস) বা একাধিক-প্রবেশ (৩-১২ মাস), প্রতি প্রবেশে ৩০ দিন থাকা যাবে।
ব্যবসায়িক ভিসা: একক প্রবেশে ৩০ দিন এবং একাধিক প্রবেশের জন্য ১ বছরেরও বেশি সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
কর্নেল আল কান্দারি জোর দিয়ে বলেন, তাৎক্ষণিক এবং দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবের পুঙ্খানুপুঙ্খ অধ্যয়ন অনুসরণ করে সমস্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই ব্যবস্থার লক্ষ্য হলো জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার পাশাপাশি পর্যটন গন্তব্য হিসেবে কুয়েতকে সমৃদ্ধ করা।
কুয়েত একমাত্র উপসাগরীয় রাষ্ট্র যেখানে ইসরায়েলিদের জন্য কূটনৈতিক সম্পর্ক বা ভ্রমণের ব্যবস্থা নেই। সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইনের মতো প্রতিবেশীদের বিপরীতে দেশটি ২০২০ সালের আব্রাহাম চুক্তির মাধ্যমে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছিল।
সূত্র : গালফ নিউজ।
বিডি-প্রতিদিন/শআ