শিরোনাম
প্রকাশ: ০৭:৩৫, শনিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৫

কী পরিমাণ শুল্ক দিতে হবে বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়

অনলাইন ভার্সন
কী পরিমাণ শুল্ক দিতে হবে বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়

যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক পাল্টা শুল্ক সিদ্ধান্ত শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, গোটা দক্ষিণ এশিয়ার কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতার ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছে। এমন প্রেক্ষাপটে কথা বলেছেন অভিজ্ঞ কূটনীতিক ও সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির। 

প্রশ্ন : যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ওপর পাল্টা শুল্ক ৩৫ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করেছে। অনেকে বলছেন, এটি অন্তর্বর্তী সরকারের কূটনৈতিক সাফল্য, আবার কেউ মনে করছেন এটি একটি আপসের ফল। বাংলাদেশের জন্য এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব কী হতে পারে?

এম হুমায়ুন কবির : আপনি বলছেন যে ৩৫ শতাংশ ট্যারিফ কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে। এটিকে আমরা মোটাদাগে কূটনৈতিক সফলতা হিসেবে দেখতে পারি।

কিন্তু ঠিক কী পরিমাণ শুল্ক দিতে হবে এই বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়। কারণ আমরা বিজিএমইএ কিন্তু বলছে, এই ২০ শতাংশ এবং তার পরে ১৫.৫ শতাংশ আগে যেটি আমরা দিতাম, সেটিও যোগ হবে। তাহলে কী দাঁড়াল? ৩৫ শতাংশেই আমরা ঠেকলাম। আমরা সেদিক থেকে পরিষ্কার হতে পারছি না বিষয়টি আসলে কোথায় দাঁড়িয়ে আছে।

বিষয়টি স্পষ্ট নয়। আমাদের বোধ হয় ফাইনাল অ্যাগ্রিমেন্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বিষটি বুঝতে। বাংলাদেশের জন্য দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব যেটি বলছেন, সেখানে আসি। যেহেতু বাংলাদেশের এখন প্রতিদ্বন্দ্বী রেডিমেড গার্মেন্টসের ক্ষেত্রে ভিয়েতনাম, ভারত ও শ্রীলঙ্কাকে মনে করি এবং ইন্দোনেশিয়াও খানিকটা হতে পারে।

এ ক্ষেত্রে ভারত ছাড়া অন্যদেরও প্রায় কাছাকাছি শুল্ক ধরা হয়েছে; তো আমরা প্রতিযোগিতামূলকভাবে আগে যেমন অবস্থানে ছিলাম এবং প্রায় তেমন অবস্থায়ই আছি। সে ক্ষেত্রে আমরা আমাদের দক্ষতা ও যেটুকু সক্ষমতা আছে, তা দিয়েই আমরা আমাদের পূর্বাবস্থা ধরে রাখতে পারব। যেহেতু আমরা দেখতে পাচ্ছি সাম্প্রতিক কয়েক মাসে এখানে আমাদের উৎপাদনে গতি বেড়েছে। সেই গতি যদি কন্টিনিউ করে, তাহলে আমার ধারণা, আমরা আগামী দিনে ভালো অবস্থানেই থাকতে পারব। এইটুকু আমরা প্রত্যাশা করতেই পারি।


প্রশ্ন : যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্কনীতিতে অন্যান্য প্রতিযোগী দেশ (যেমন—ভিয়েতনাম, শ্রীলঙ্কা) প্রায় একই শুল্কের আওতায় এসেছে। এটি কি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ, নাকি সুযোগ?

এম হুমায়ুন কবির : এখানে অনেক বিষয় আছে। আমাদের শ্রমিকদের দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা এখনো ভারত বা ভিয়েতনাম থেকে পিছিয়ে আছে। সেটি বাড়াতে হলে ধরেন, শিক্ষা একটি উপাদান, দক্ষতা একটি উপাদান—এগুলো চিন্তার মধ্যে আনতে হবে। সেই সঙ্গে শ্রমিক অধিকারের বিষয়গুলো ভাবতে হবে। নিরাপত্তার বিষয় একটি ছিল আগে, কিন্তু আমার ধারণা, রানা প্লাজার পরে ইস্যুটি মোটাদাগে আমরা অ্যাড্রেস করতে পেরেছি।  কিন্তু শ্রমিকের অধিকার, আয়, স্যালারি—এগুলো নিয়ে কিছু প্রশ্ন আছে। তারপর ধরেন, আমরা এখন শ্রমনির্ভর, সেটি অটোমেশনের দিকে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবতে হবে। ইদানীং আমাদের গার্মেন্টস সেক্টরের অনেক কারখানা গ্রিন ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। রিনিউএবল এনার্জি ব্যবহার করে যদি আমাদের উৎপাদন ব্যয় কমাতে পারি, সেখানেও আমাদের সুযোগ আছে। প্রতিযোগিতায় আমরা যদি আরেকটু সামনে থাকতে চাই, তাহলে এগুলোতে মনোযোগ দেওয়া দরকার।
 
প্রশ্ন : বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রস্তাবিত বাণিজ্যচুক্তির শর্তাবলির মধ্যে চীন থেকে আমদানি কমানো এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে সামরিক, কৃষি ও জ্বালানি পণ্য আমদানি বাড়ানোর মতো বিষয় রয়েছে। শর্তগুলো বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও অর্থনৈতিক বিষয়ে কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে?

এম হুমায়ুন কবির : প্রথমে বাণিজ্যিক দিক নিয়েই বলি। নন-ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট বলে চুক্তির বিষয়গুলো আমরা জানতে পারিনি। ট্যারিফ ২০  শতাংশ এবং তার পরে ১৫.৫ শতাংশ আগেরটি যোগ হবে কি না বোঝা যাচ্ছে না। যদি হয়, তাহলে মাত্রাটা বেশ উঁচু, এখানে অনেক রকম চ্যালেঞ্জ আসবে। কারণ যেকোনো কাঁচামাল আমদানি করলে তাতে যদি এত শুল্ক দিতে হয়, তাহলে তো উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে যাবে। ফলে এখানে আমার বেশ শক্তিশালী সক্ষমতা আনতে হবে।

দেখেন, ব্রিটেনের ক্ষেত্রে যা করেছে, ভিয়েতনামের ক্ষেত্রেও সেটি করেছে। ভিয়েতনামের ক্ষেত্রে বলেছে ট্রানজিটিং গুডস আর ইউকের ক্ষেত্রে বলেছে ইকোনমিকস গুডস। অর্থাৎ চীন থেকে যদি কোনো কাঁচামাল ব্যবহৃত হয়, তাহলে সেখানে ভিয়েতনামের ক্ষেত্রে তারা ৪০ শতাংশের কথা বলেছে, চীনের কথা বলেনি। কিন্তু তারা বলেছে ট্রানজিট কান্ট্রি যদি ভিয়েতনাম হয়ে যায়, তাহলে সেটি অন্য রকম হবে। এখন এখানে বাংলাদেশের জন্য যে চুক্তি আমরা করে এসেছি, সেই চুক্তিতে কী শর্ত বা উপাদান আছে, তা তো আমরা জানি না। কিন্তু এ ধরনের একটা কিছু থাকলেও থাকতে পারে। আর সেটা হলে অবশ্যই আমাদের চিন্তার কারণ হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার এই শুল্কযুদ্ধ শুরু করার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছেই কিন্তু চীনকে একটু বেকায়দায় রাখার জন্য। যেটুকু আন্দাজ করা যায়, ভিয়েতনাম বা ইউকের জন্য যে ধরনের ফর্মুলেশন তারা দিয়েছে, বাংলাদেশের জন্যও কাছাকাছি কিছু একটা থাকার সম্ভাবনা আছে।

এবার যদি আসেন সামরিক, কৃষি, জ্বালানির কথায়। জ্বালানি আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আমদানি করি, করতে পারি। যদি দামে সাশ্রয়ী হয় তুলনামূলকভাবে, তাহলে আমরা তো আমদানি করছিই এবং ভবিষ্যতেও করতে পারি। কৃষিপণ্য আর সামরিক ব্যাপারেও আমাদের আগ্রহের কথা বলেছিলাম আগে। আমার ধারণা, বোধ হয় সামরিক সরঞ্জাম আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আমদানি করতে পারিনি। দামের সঙ্গে যদি মেলে, তাহলে সামরিক সরঞ্জামও আমদানি করা যেতে পারে। কৃষি খাতে একটা জায়গায় কনসার্ন আছে। সেটা হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কৃষি খাতে ব্যাপকভাবে ঢোকার চেষ্টা করছে। ইউরোপের ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যেটা নিয়ে এক ধরনের জটিলতা আছে, সেটা হচ্ছে জিএমও অর্থাৎ জেনেটিক্যালি মডিফায়েড প্রোডাক্ট। এখন এই জেনেটিক্যালি মডিফায়েড প্রোডাক্ট যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিক্রি করতে চায়, তাহলে কিন্তু এখানে গুণগত, স্বাস্থ্যগত বিষয় আছে এবং সেগুলোর ব্যাপারে ইউরোপের আপত্তি আছে। আমার ধারণা, ভারতও সেটাতে আপত্তি দিয়েছে। আর বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও এ ধরনের প্রস্তাব হয়ে যদি থাকে বা আলোচনা হয়ে থাকে, আমি জানি না এতে বাংলাদেশ সম্মত হয়েছে কি না। কিন্তু এটি একটি জটিল জায়গা।  এ ছাড়া কৃষিক্ষেত্রে অনেক জিনিস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আমদানি করি। ফার্টিলাইজ, প্রেস্টিসাইড—এগুলো তো বড় বড় কম্পানি থেকে আসে। তো এক্সাক্টলি কী ধরনের প্রোডাক্ট নিয়ে তারা আলাপ-আলোচনা করেছে, সেগুলোর ব্যাপারে এখনো আমার কাছে স্বচ্ছতা নেই। সার্বভৌমত্বের দিক থেকে যদি বলেন—আমি সার্বভৌমত্বে কোনো ধরনের হুমকি বা এ ব্যাপারে নেতিবাচক কোনো প্রভাব দেখার কারণ দেখছি না। ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আমরা কতটা আমাদের অবস্থান ধরে রাখতে পারব, আমরা নিজেদের সক্ষমতা বাড়িয়ে কতটা প্রতিযোগিতামূলকভাবে আমাদের স্বার্থ সংরক্ষণ করতে পারব, সেই জায়গাটাতে আমাদের বেশি মনোযোগ দিতে হবে।

প্রশ্ন : এনডিএ স্বাক্ষরের পর চুক্তির কিছু অংশ ফাঁস হওয়ায় এক সরকারি কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা কি আলোচনায় বাংলাদেশের অবস্থানকে দুর্বল করে দিতে পারে?

এম হুমায়ুন কবির : যে বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার কারণে চাকরি গেছে বলছেন, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে অনেকের কাছেই এটি হাতে হাতে ঘুরছে। তো কাজেই আমার মনে হয়, এই বিষয়টি নিয়ে একটু বেশিই তৎপর ছিলাম। অন্য দু-একটি বন্ধু দেশের কথা আমি জানি। এনডিএ স্বাক্ষর করার পরে তাদের সরকার নিজ নিজ দেশের ওই সব ক্ষেত্রে যাঁরা বিশেষজ্ঞ আছেন, তাঁদের সঙ্গে তারা আলোচনা করেছে এবং এনডিএ তো সেটিও বাধা দেয়নি। বিষয়টি নিয়ে যে স্বচ্ছতা এবং দায়বদ্ধতার একটা জায়গা আছে, এই জায়গায় আমার মনে হয় না যে আমরা স্পষ্টভাবে ডিল করেছি। বিষয়টি আমরা এমনভাবে উপস্থাপন করেছি যে স্বচ্ছতার জায়গাটা একটু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

প্রশ্ন : যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক শুল্কনীতি পাকিস্তানের জন্য সুবিধা, ভারতের জন্য বাড়তি শুল্ক—বিষয়গুলো বাংলাদেশের জন্য কী বার্তা বহন করছে?

এম হুমায়ুন কবির : বাংলাদেশের সঙ্গে আর ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের মাত্রা এক না। ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে চীনের উপস্থিত বা চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বা ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বিতা। পাকিস্তানও এখানে জড়ায়, কিন্তু ভারতের এটি বৈশ্বিক এবং আঞ্চলিক প্রেক্ষাপট। ভূ-রাজনৈতিক দিক থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত এটি একটি ফেজ আর পাকিস্তান, বাংলাদেশ আলাদা ফ্রেম। তো সেই ফ্রেমের আলোকেই চীনের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রেক্ষাপটে তারা ভারতকে তাদের মিত্র মনে করে বা মিত্র হিসেবে পেতে আগ্রহী। এখন শুল্কের বিষয়ে এসে যেটি দাঁড়িয়েছে, সেটি হচ্ছে এই মিত্রতাটা কিন্তু শুরু হয়েছে ২০০৫ সাল থেকে। তারা গত ২০ বছর ইতিবাচকভাবে পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কটা উন্নয়নের দিকে নিয়ে গেছে বিভিন্ন স্তরে। কিন্তু এখন যেটা দাঁড়িয়েছে, এই শুল্কের কারণে ভারত নিশ্চিতভাবেই এখন আনহ্যাপি। ভারতের ইকোনমিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ডেড ইকোনমি বলেছেন এবং ৫০ শতাংশ শুল্ক দেওয়ার ফলে ভারতের ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি হয়েছে। গত বছর ভারত ৮৬ বিলিয়ন ডলার ইউএস ডলার রপ্তানি করেছে, শুল্কযুদ্ধে এটা অর্ধেকে নেমে গেছে বা যাবে। এখানে ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে একটা টানাপড়েন তৈরি হবে। এখন পাল্টা দিকে যদি দেখি, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী যাচ্ছেন সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন সম্মেলনে অংশ নিতে বেইজিংয়ে। এখানে আরেকটি কথা বলে রাখি, ভারতের সঙ্গে এই টানাপড়েনের কারণটি হচ্ছে রাশিয়া থেকে তেল কেনার কারণে এবং সেই তেল তারা প্রসেস করে ইউরোপে বিক্রি করে। এই তেল কেনার কারণে রাশিয়ার যুদ্ধ চালানোর যে সক্ষমতা, সেটি চালু রাখতে পারছে, মানে এ ক্ষেত্রে ভারত সহায়তা করছে। এই যুক্তির ভিত্তিতে ভারতের ওপর এই শুল্কটা জারি করা হয়েছে। তো এখন ভারত যদি চীন বা রাশিয়ার দিকে ঝোঁকে, তাহলে কিন্তু এখানে ভূ-রাজনৈতিক ব্যালান্স একদিকে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়। এ ক্ষেত্রে আপনি আরো লক্ষ করবেন ব্রিকস সম্মেলন। গত ব্রিকস সম্মেলন যেটি ব্রাজিলে হয়ে গেল, সেখানেও কিন্তু একটি প্রস্তাব নিতে চেয়েছিল যে আমরা বাণিজ্যিক পেমেন্ট বা লেনদেনের ক্ষেত্রে ডলারকে আর রাখব না। সেখানে কিন্তু ভারত সেটিকে আটকে দিয়ে ডলারের পক্ষে দাঁড়িয়েছিল এবং সেখানে ভারতকে অনেক কটু কথাও শুনতে হয়। এখন ভারত যদি চীন ও রাশিয়ার দিকে একটু ঝুঁকে গিয়ে এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে, তাহলে নিশ্চিতভাবেই আমার ধারণা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েন বাড়বে। তবে এখানে একই সঙ্গে এটিও বলে রাখা দরকার যে ভারতের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক গত ২০ বছরে বহুমাত্রিকভাবে তৈরি হয়েছে এবং উভয় দেশের মাঝে বন্ধুত্বপূর্ণভাবে বিভিন্ন শক্তিশালী গ্রুপ বা সমর্থক গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। তারা কিন্তু শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টেনশন নিয়ে কাজ করছে সক্রিয়ভাবে। কাজেই ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের এই শুল্কের টানাপড়েনটা এখনো শেষ অধ্যায় আমরা দেখেছি বলে মনে করি না। এটি নিয়ে আরো টেনশন আছে, কিন্তু সেটি কোথায় গিয়ে শেষ হবে, তা দেখতে আমাদের আরেকটু অপেক্ষা করতে হবে।

প্রশ্ন : ট্রাম্প প্রশাসনের মায়ানমার নীতিতে তো পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার মতো পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং এটি মায়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনগুলোকে দুর্বল করবে কি না বা চীনের প্রভাবটি কী মাত্রায় পরিবর্তন হবে ট্রাম্প প্রশাসনের ভূমিকার কারণে?

এম হুমায়ুন কবির : এটি আপনি ঠিকই বলেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিককালে মায়ানমারের ওপর বেশ আগ্রহ দেখাচ্ছে, যেটি আপনি বলছিলেন, তারা কয়েকজনের ওপর থেকে স্যাংশন তুলে নিয়েছে। আরেকটি জিনিস হয়েছে এই ঘটনার পর, মায়ানমারের দিক থেকে তারা বেশ আগ্রহ নিয়ে ওয়াশিংটনে লবিইস্ট নিয়োগ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য। আমরা একটি বড় ধরনের নতুন উপাদান দেখতে পাচ্ছি এবং যে কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা ট্রাম্প প্রশাসন এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। সেটি হচ্ছে যে রেয়ার আর্থ, ইলেকট্রনিক জিনিসগুলো তৈরির অন্যতম প্রধান উপাদান। মায়ানমারের এই রেয়ার আর্থের দিকে তাদের আকর্ষণ আছে। কিন্তু আবার খবর পাওয়া যাচ্ছে যে রেয়ার আর্থ মিনারেলগুলোর প্রায় সব কটিতেই চীনের উপস্থিতি। এর অর্থ আমরা মায়ানমারে এক ধরনের চীন-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বিতার একটি আভাস পাচ্ছি। 

প্রশ্ন : পার্বত্য অঞ্চল, ভারত ও মায়ানমারের একটি অঞ্চল নিয়ে বৈশ্বিক কোনো কোনো শক্তির পরিকল্পনা আছে বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তো এ ব্যাপারে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রীরও একপ্রকার বক্তব্য ছিল। আপনি কী মনে করেন?

এম হুমায়ুন কবির : পরিস্থিতি একটু ঘোলাটেই আছে, কিন্তু আমার কাছে মনে হয় না তেমন কোনো পরিকল্পনা আছে। কারণ হচ্ছে, এই অঞ্চলে ভৌগোলিক সীমারেখা বা বিভিন্ন রাষ্ট্রের যে অখণ্ডতা আছে, এটি ভাঙার জন্য যে কেউ উদ্যোগী আছে, এটি আমরা নিশ্চিত নই আর কি। অর্থাৎ আমি ব্যক্তিগতভাবে নিশ্চিত নই। চীন নিশ্চিতভাবে এই অঞ্চলের কোনো রাষ্ট্রের ভৌগোলিক অখণ্ডতা নষ্ট হোক, এটি চায় না এবং চীন এই অঞ্চলের বড় শক্তি। ভারতের দিক থেকে যদি আমি আসি, তাহলে ভারতও আঞ্চলিক অখণ্ডতা বা ভৌগোলিক অখণ্ডতা ক্ষতিগ্রস্ত হোক, এটি চায় না। তাহলে আসিয়ানে যদি আমি আসি, আমার ধারণা, তারাও এটি চায় না। বাংলাদেশের দিক থেকেও আমি মনে করি, কোনো দেশের ভৌগোলিক অখণ্ডতা ক্ষতিগ্রস্ত হোক, এটি আমরা চাই না। তাহলে যদি আমরা না চাই, এই চার শক্তি যারা আমরা এই অঞ্চলে আছি, আমরা যদি না চাই, তাহলে বাইরের কেউ এসে এখানে ক্ষতিগ্রস্ত করার যথেষ্ট শক্তিশালী গ্রাউন্ড বা প্রেক্ষাপট পাবে কিভাবে? কাজেই যুক্তির বিচারে এই বক্তব্যকে সমর্থন করার মতো কোনো তাৎক্ষণিক উপাদান বা তথ্য-উপাত্ত পাচ্ছি না। তবে একটি আলোচনা আছে, এ রকম আলাপ আছে সেটি—আমরা আগের সরকারেও শুনেছি এ রকম আলাপ। প্রতিটি রাষ্ট্রের ভেতরে অভ্যন্তরীণ সমস্যা আছে, মায়ানমারে আছে, ভারতে আছে, বাংলাদেশে আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে সমস্যা আছে। কিন্তু এই সমস্যাগুলো আন্তঃরাষ্ট্রীয় ভৌগোলিক অখণ্ডতাকে পরিবর্তন করে দেবে, তেমন কোনো উপাদান বা আলামত আমার চোখে অন্তত পড়ছে না।

 
সৌজন্যে : কালের কণ্ঠ  

এই বিভাগের আরও খবর
আমরা আশাবাদী আনন্দমুখর পরিবেশে জুলাই সনদে স্বাক্ষর হবে : আলী রীয়াজ
আমরা আশাবাদী আনন্দমুখর পরিবেশে জুলাই সনদে স্বাক্ষর হবে : আলী রীয়াজ
৪ জেলায় নতুন ডিসি
৪ জেলায় নতুন ডিসি
সাবেক পুলিশ কমিশনার সাইফুলকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ
সাবেক পুলিশ কমিশনার সাইফুলকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ
জাতীয় নির্বাচনে সহায়তা করতে চায় অস্ট্রেলিয়া
জাতীয় নির্বাচনে সহায়তা করতে চায় অস্ট্রেলিয়া
দলগুলোর সঙ্গে জরুরি বৈঠকে ঐকমত্য কমিশন, রয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
দলগুলোর সঙ্গে জরুরি বৈঠকে ঐকমত্য কমিশন, রয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
নির্বাচিত সরকারই কেবল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নেতৃত্ব দিতে পারে : দুদু
নির্বাচিত সরকারই কেবল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নেতৃত্ব দিতে পারে : দুদু
যমুনা ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়ে শাহবাগ ছাড়লেন শিক্ষকরা
যমুনা ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়ে শাহবাগ ছাড়লেন শিক্ষকরা
তিন গোয়েন্দার স্রষ্টা রকিব হাসান আর নেই
তিন গোয়েন্দার স্রষ্টা রকিব হাসান আর নেই
আর্মি সার্ভিস কোর ও আর্মি মেডিকেল কোরের সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত
আর্মি সার্ভিস কোর ও আর্মি মেডিকেল কোরের সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত
এ পর্যন্ত ৩৮ লাখ শিশুকে টাইফয়েডের টিকা দেওয়া হয়েছে: মহাপরিচালক
এ পর্যন্ত ৩৮ লাখ শিশুকে টাইফয়েডের টিকা দেওয়া হয়েছে: মহাপরিচালক
দলগুলোর সঙ্গে সন্ধ্যায় ঐকমত্য কমিশনের জরুরি বৈঠক
দলগুলোর সঙ্গে সন্ধ্যায় ঐকমত্য কমিশনের জরুরি বৈঠক
নজরুল ইসলাম খান হাসপাতালে ভর্তি
নজরুল ইসলাম খান হাসপাতালে ভর্তি
সর্বশেষ খবর
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা

৩৯ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিশ্লেষকের বিরুদ্ধে কি অভিযোগ আমেরিকার?
ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিশ্লেষকের বিরুদ্ধে কি অভিযোগ আমেরিকার?

৫০ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমরা আশাবাদী আনন্দমুখর পরিবেশে জুলাই সনদে স্বাক্ষর হবে : আলী রীয়াজ
আমরা আশাবাদী আনন্দমুখর পরিবেশে জুলাই সনদে স্বাক্ষর হবে : আলী রীয়াজ

৩ মিনিট আগে | জাতীয়

সবুজের নতুন অধ্যায় ‘বসুন্ধরা কমিউনিটি পার্ক’
সবুজের নতুন অধ্যায় ‘বসুন্ধরা কমিউনিটি পার্ক’

৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে চান সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট
রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে চান সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট

১০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এইচএসসি পরীক্ষার ফল কাল : যেভাবে রেজাল্ট জানবেন
এইচএসসি পরীক্ষার ফল কাল : যেভাবে রেজাল্ট জানবেন

১১ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

সোনারগাঁয় ট্যুরিস্ট পুলিশ হেল্প ডেস্ক ও সার্ভিস সেন্টার উদ্বোধন
সোনারগাঁয় ট্যুরিস্ট পুলিশ হেল্প ডেস্ক ও সার্ভিস সেন্টার উদ্বোধন

১৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রাস্তা সংস্কারের দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
রাস্তা সংস্কারের দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

৩১ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

৪ জেলায় নতুন ডিসি
৪ জেলায় নতুন ডিসি

৩৩ মিনিট আগে | জাতীয়

রংপুরে ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেফতার
রংপুরে ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেফতার

৩৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সাবেক পুলিশ কমিশনার সাইফুলকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ
সাবেক পুলিশ কমিশনার সাইফুলকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ

৪০ মিনিট আগে | জাতীয়

জয়ী দাবি করলেও হামাসের কাছে পরাজিত নেতানিয়াহু: ইসরায়েলি পত্রিকা
জয়ী দাবি করলেও হামাসের কাছে পরাজিত নেতানিয়াহু: ইসরায়েলি পত্রিকা

৪২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নগদ অর্থ লেনদেনে জনগণকে সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান বাংলাদেশ ব্যাংকের
নগদ অর্থ লেনদেনে জনগণকে সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান বাংলাদেশ ব্যাংকের

৪৮ মিনিট আগে | অর্থনীতি

নীলফামারীতে বিশ্ব সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবস পালিত
নীলফামারীতে বিশ্ব সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবস পালিত

৫৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিলেটে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ৬৭
সিলেটে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ৬৭

৫৭ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

জাতীয় নির্বাচনে সহায়তা করতে চায় অস্ট্রেলিয়া
জাতীয় নির্বাচনে সহায়তা করতে চায় অস্ট্রেলিয়া

৫৮ মিনিট আগে | জাতীয়

‌‘খাদ্য, পানি ও জমিতে নারীর অধিকার নিশ্চিত করতে হবে’
‌‘খাদ্য, পানি ও জমিতে নারীর অধিকার নিশ্চিত করতে হবে’

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দলগুলোর সঙ্গে জরুরি বৈঠকে ঐকমত্য কমিশন, রয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
দলগুলোর সঙ্গে জরুরি বৈঠকে ঐকমত্য কমিশন, রয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অস্ত্র প্রশিক্ষণের ভিডিও ভাইরাল, গ্রেফতার ৩
অস্ত্র প্রশিক্ষণের ভিডিও ভাইরাল, গ্রেফতার ৩

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মেহেরপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান, দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
মেহেরপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান, দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

চাকসুর ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা
চাকসুর ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় নারীসহ নিহত ৩
টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় নারীসহ নিহত ৩

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচিত সরকারই কেবল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নেতৃত্ব দিতে পারে : দুদু
নির্বাচিত সরকারই কেবল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নেতৃত্ব দিতে পারে : দুদু

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যমুনা ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়ে শাহবাগ ছাড়লেন শিক্ষকরা
যমুনা ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়ে শাহবাগ ছাড়লেন শিক্ষকরা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘অর্থনীতি শুধু ধনীদের স্বার্থ রক্ষার্থে ব্যবহৃত হলে সত্যিকারের ইনসাফ প্রতিষ্ঠা হবে না’
‘অর্থনীতি শুধু ধনীদের স্বার্থ রক্ষার্থে ব্যবহৃত হলে সত্যিকারের ইনসাফ প্রতিষ্ঠা হবে না’

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু
নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চম্পকনগর কলেজে নবীণবরণ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চম্পকনগর কলেজে নবীণবরণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তিন গোয়েন্দার স্রষ্টা রকিব হাসান আর নেই
তিন গোয়েন্দার স্রষ্টা রকিব হাসান আর নেই

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মানসিক রোগও মানুষ পেয়েছে পূর্ব পুরুষ থেকে!
মানসিক রোগও মানুষ পেয়েছে পূর্ব পুরুষ থেকে!

১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

সর্বাধিক পঠিত
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৯৬৭ সালের আগের সীমান্ত অনুযায়ী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের আহ্বান
১৯৬৭ সালের আগের সীমান্ত অনুযায়ী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের আহ্বান

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হামাসকে নিরস্ত্র হতে বাধ্য করা হবে, প্রয়োজনে আমরাই করব: ট্রাম্প
হামাসকে নিরস্ত্র হতে বাধ্য করা হবে, প্রয়োজনে আমরাই করব: ট্রাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?
আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ডিপ ফ্রিজ থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী গ্রেফতার
ডিপ ফ্রিজ থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী গ্রেফতার

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ঝালকাঠিতে জলাতঙ্কে যুবকের মৃত্যু
ঝালকাঠিতে জলাতঙ্কে যুবকের মৃত্যু

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে ফের গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৯
যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে ফের গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৯

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন আমদানি বন্ধ চীনের, ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি
যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন আমদানি বন্ধ চীনের, ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একজন ধনী ব্যক্তি মার্কিন সেনাদের বেতন দিতে চান
একজন ধনী ব্যক্তি মার্কিন সেনাদের বেতন দিতে চান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আবারও সীমান্তে পাল্টাপাল্টি হামলা পাকিস্তান-আফগানিস্তানের
আবারও সীমান্তে পাল্টাপাল্টি হামলা পাকিস্তান-আফগানিস্তানের

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলের গোপন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলের গোপন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ
রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

'অশ্লীল' তকমা দিয়ে নিষিদ্ধ করা হয় মাধুরীর গান
'অশ্লীল' তকমা দিয়ে নিষিদ্ধ করা হয় মাধুরীর গান

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

কাল এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, জানবেন যেভাবে
কাল এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, জানবেন যেভাবে

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শুক্রবার থেকে সারাদেশে বৃষ্টির আভাস
শুক্রবার থেকে সারাদেশে বৃষ্টির আভাস

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুদকের পরিচালক হলেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা
দুদকের পরিচালক হলেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের তিন কাশির সিরাপ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা জারি
ভারতের তিন কাশির সিরাপ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা জারি

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সোনারগাঁয়ে নিখোঁজের ৪ দিন পর যুবতীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
সোনারগাঁয়ে নিখোঁজের ৪ দিন পর যুবতীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন ট্যারিফ আজ থেকে, ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা
চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন ট্যারিফ আজ থেকে, ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প
টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে চলন্ত বাসে আগুনে পুড়ে প্রাণ গেল ২০ যাত্রীর
ভারতে চলন্ত বাসে আগুনে পুড়ে প্রাণ গেল ২০ যাত্রীর

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পশ্চিম তীরে ভয়ংকর হয়ে উঠছে বসতি স্থাপনকারীরা, লাগাতার হামলা
পশ্চিম তীরে ভয়ংকর হয়ে উঠছে বসতি স্থাপনকারীরা, লাগাতার হামলা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগামী ৫ দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, জানাল অধিদপ্তর
আগামী ৫ দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, জানাল অধিদপ্তর

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের
মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের

১৯ ঘণ্টা আগে | পরবাস

মিরপুরের অগ্নিকাণ্ডে এখনো নিখোঁজ ১৩ জন
মিরপুরের অগ্নিকাণ্ডে এখনো নিখোঁজ ১৩ জন

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ গ্রেপ্তার
যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ গ্রেপ্তার

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ
পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন

নগর জীবন

নারীকে জড়িয়ে ভয়ংকর অপতথ্যের জাল
নারীকে জড়িয়ে ভয়ংকর অপতথ্যের জাল

পেছনের পৃষ্ঠা

বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার
বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির

প্রথম পৃষ্ঠা

রাকিবের গোলে ১ পয়েন্ট
রাকিবের গোলে ১ পয়েন্ট

মাঠে ময়দানে

অধরাই বিকল্প বাজার
অধরাই বিকল্প বাজার

পেছনের পৃষ্ঠা

আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের
আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি
প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি

পেছনের পৃষ্ঠা

ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত
ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত

নগর জীবন

২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার

নগর জীবন

শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি
শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি

নগর জীবন

নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে
নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি
অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি

নগর জীবন

১২ বছর চলছে ১১ কিমি সড়কের কাজ!
১২ বছর চলছে ১১ কিমি সড়কের কাজ!

নগর জীবন

অসহায় জনগণ কষ্টে আছে
অসহায় জনগণ কষ্টে আছে

প্রথম পৃষ্ঠা

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে

নগর জীবন

সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল
সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল

খবর

১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়
১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়

নগর জীবন

কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা
কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা

নগর জীবন

নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি
প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি

পেছনের পৃষ্ঠা

ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে
ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে

নগর জীবন

বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন
বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন

পেছনের পৃষ্ঠা

ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ
ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ

পেছনের পৃষ্ঠা

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির

নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই
বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই

নগর জীবন

দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ
দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ

পেছনের পৃষ্ঠা