গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় চাঁদা দাবীর অভিযোগে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ আটক, মারধোর, ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ ও গাড়ীতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহষ্পতিবার রাতে শ্রীপুর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) খায়রুল ইসলাম। তিনি বুধবার রাতে ওই ঘটনার পর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) থেকে প্রত্যাহৃত হয়ে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত রয়েছেন।
শ্রীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, মামলার (নং-৩০) এজাহারে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন তার ওপর ন্যাস্ত শ্রীপুর থানার একটি মামলার নং ৩৭(১২)১৬ তদন্ত কাজে তিনি ফোর্সসহ ২৫ জানুয়ারী বুধবার মাওনা চৌরাস্তায় যান। সেখানে গোপন সংবাদে খবর পান স্থানীয় আল-আমিন মুড়ির মিলের কাছে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী মাদকদ্রব্য হস্তান্তর করবে। এসময় প্রাকৃতিক কাজ সারতে ফোর্সসহ তিনি সন্ধ্যা সোয়া ৫টার দিকে মুড়ির মিলে যান। ৫/৬ মিনিট পর তারা জানতে পারেন কমপক্ষে ৭০ জন অজ্ঞাত লোক বাইরে রাখা তাদের হায়েস মাইক্রোবাস ভাংচুর করছে। এসময় গাড়ীর ড্রাইভার আফজাল হোসেন ও হেলপার হাবিবুল্লাহকে অজ্ঞাত লোকজন এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে। এতে গাড়ীর ইঞ্জিন পুড়ে ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।
মামলার ব্যাপারে আল আমিন মুড়ির মিলের মালিক আবুল কালাম বলেন, হয়রানির উদ্দেশে মামলাটি করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা দিয়ে যাকে খুশি তাকে ধরে পুলিশ নানাভাবেই হয়রানি করবে। মামলায় মুড়ির মিলে প্রাকৃতিক কাজ সারানোর ব্যাখ্যা দিয়ে প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। আমাদের কাছে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ রয়েছে। ফুটেজ এখন প্রায় সকল ব্যবসায়ীদের সংরক্ষণে রয়েছে। ডিবি পুলিশ প্রাকৃতিক কাজ সারতে নাকি অন্য কাজে মুড়ির মিলে এসেছিল তা ফুটেজই প্রমাণ করবে।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৭ জানুয়ারি, ২০১৬/ আব্দুল্লাহ তাফসীর-৮