লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে ঘুষ বাণিজ্যের মধ্য দিয়ে অমুক্তিযোদ্ধা ও ভুয়াদের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হচ্ছে বলে অভিযোগে উঠেছে। এ নিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। এতে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা নেতাদের কয়েকজন গত দুইদিন ধরে তাদের ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুকে) এসব বিষয় উল্লেখ করে স্ট্যাটাস দিয়ে যাচ্ছেন।
উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান মঞ্জুর হোসেন সুমন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ন আহবায়ক কৌশিক আহমেদ সোহেল, ছাত্রলীগ নেতা মহসিন পাটওয়ারী ও রিজভীসহ কয়েকজন অভিযোগ করেন, কমান্ডার ও কমিটির কিছু সদস্য রায়পুরে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ে তালিকায় যাদের নাম দিয়েছেন তাদের কাছ থেকে দুই থেকে তিন লাখ টাকার বিনিময়ে কমিটিতে সাক্ষাৎকার নিয়ে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নাম অন্তর্ভূক্ত করছে। এতে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানহানি হচ্ছে। তারা যাচাই-বাচাই কমিটির তালিকা থেকে ভুয়াদের নাম বাদ দিয়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের নাম অন্তর্ভুক্তির দাবি জানান।
তবে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নিজাম উদ্দিন পাঠান ফেসবুকে উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যারা আমাদের নিয়ে মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছেন তারাই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। বিধি মোতাবেক ফরম পূরণ করা হয়েছে। আমরা নিয়মনীতির মধ্যে কাজ করছি।
যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিল্পী রানী রায় বলেন, বিষয়টি তিনি মুখে শুনেছেন। কিন্তু লিখিত কোন অভিযোগ কেউ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/২৯ জানুয়ারি ২০১৭/হিমেল