শেরপুরের কসবা মোল্লাপাড়া এলাকায় দুর্বৃত্তদের হামলায় কলেজ অধ্যক্ষ ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম হাছান খান সুজন (৫২) গুরুতর আহত হয়েছেন।
গোলাম হাছান খান বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান মডেল কলেজের অধ্যক্ষ। ঘটনার পর তাকে শেরপুর সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাত ১টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
অধ্যক্ষ গোলাম হাছান খানের উপর হামলার প্রতিবাদে কলেজের শিক্ষার্থীরা শুক্রবার সকালে শেরপুর-ময়মনসিংহ সড়ক দুই ঘন্টা অবরোধ করে রাখে।
শেরপুর সদর থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাসায় ফেরার পথে কসবা এলাকায় ২০ থেকে ২৫ জনের একদল দুর্বৃত্ত এ হামলা চালায়। বেধড়ক মারপিটের কারণে গোলাম হাছান খানের সারা শরীরেই জখম হয়। তার ডান পা ও কোমরে গুরুতর জখম হয়েছে।
জেলা পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জের ধরেই এ ধরনের হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে আহত গোলাম হাছান খানের পক্ষ দাবি করেছে।
গোলাম হাছান খান জানিয়েছেন, গেল জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্যই এ হামলা করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী প্রভাষক ছানোয়ার হোসেন মিনাল সাংবাদিকদের জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই ১৫/২০ জনের একদল যুবক প্রথমে তাকে পার্শ্ববর্তী একটি স' মিলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তার ভাইরা গোলাম হাছান খানকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। অন্ধকার থাকায় তিনি কাউকে চিনতে পারিনি।
আহত গোলাম হাছান খানকে দেখার জন্য তার স্বজন এবং আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা হাসপাতালে ছুটে আসেন। গোলাম হাছান খানের স্ত্রী এ ঘটনাকে জেলা পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী প্রতিহিংসা বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি এ ঘটনার জন্য দায়ীদের শাস্তি দাবি করেছেন।
সদর থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম জানান, এখনও কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
দলের সহ-সভাপতি ফকরুল মজিদ জানিয়েছেন মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বিডি প্রতিদিন/৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭/ফারজানা