নতুন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে প্রথম নিবাচনে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন পাহাড়ের মানুষ। এজন্য সরকার ও প্রশাসন প্রতি আস্তাও ফিরেছে তাদের। নির্বাচনের পর উৎসবে ভাসছে পাহাড়। চার দিকে ছড়িয়ে পড়েছে জয় জয়কারের ধ্বনি। দীর্ঘদিন পর কোন রকম সহিংসতা ছাড়াই পাহাড়ে এ নির্বাচন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। নির্বাচন চলাকালে ছিল না কোন রকম গুজব, উত্তেজনা ও আতঙ্ক। তাই জনমনে দেখা দিয়েছে উৎসাহ উদ্দীপনা। এখন নতুন নির্বাচিত পৌর মেয়রকে নিয়ে ঘুড়ে দাঁড়াতে চাই এ অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া মানুষগুলো। সরকারের এ প্রতিনিধির হাত ধরে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাবে ’বাঘাইছড়ি’ এমনটা আশাবাদ ব্যক্ত করেন স্থানীয় বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম (সিরাজ মাস্টার)।
বাঘাইছড়ি এলাবাসী জানান, ২০১২ সালে বাঘাইছড়ি উপজেলায় প্রথম পৌরসভা নির্বাচন হয়। সে সময় গণমানুষের ভোট নিয়ে জয়যুক্ত হয় স্বতন্ত্র প্রার্থী মো, আলমগীর কবির। কিন্তু অদৃশ্য কারণে দীর্ঘ পাঁচ বছরে উন্নয়নের লেশ মাত্র লাগেনি এ পৌরসভা এলাকায়। পিছিয়ে পড়া মানুষগুলোর ভাগ্যও পরির্বতন হয়নি। অন্ধকারে থেকে যায়, রাস্তা, ঘাট, বিদ্যালয়, কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এখনও ইট ও মাটির সড়কে চলে রিকশা, টমটমসহ বাস ও ট্রাক। অনেকগুলো সড়কে যানবাহন চলাচল করার মত অবস্থাও নেই। তাই বাঘাইছড়ি উপজেলাতে উন্নয়নের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে বেছে নেয় সরকার দলের প্রার্থীকে। এ অঞ্চলে মানুষগুলোর মুখে একটাই কথা। তারা দল ও ব্যক্তি বুঝে না। তারা চাই উন্নয়ন। তাই সবস্থরের মানুষ নৌকাকে ভোট দিয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী।
তবে নিরাশ করবেন না এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ক্ষমতাশীল আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি ও নতুন নির্বাচীত বাঘাইছড়ি পৌর মেয়র মো. জাফল আলী খান। তিনি বলেন, এ অঞ্চলের মানুষের সরকারের প্রতি আস্থা আছে বলে তাকে তারা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। তাই ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এ এলাকার যে কোন উন্ননের জন্য তিনি দৃঢ় প্রতিজ্ঞা।
এ ব্যাপারে রাঙামাটি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটানিং অফিসার মো. নাজিম উদ্দিন জানান, নতুন ইসির অধীনে প্রথম এ নির্বাচনকে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গেই দেখা হয়েছে। তাই পুলিশ, আনসার বিভিডিপি, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সহযোগিতায় এ নিবাচন সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নিবার্চন হয়েছে।
এ নির্বাচনে বাঘাইছড়ি পৌরসভা মেয়র পদে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. জাফর আলী খান। এছাড়া সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচিত হয়েছেন ১-২-৩ ওয়ার্ডে আমেনা বেগম (১৫৫৫), ৪-৫-৬ ওয়ার্ডে মোর্শেদা বেগম (১৫৯৫) ও ৭-৮-৯ ওয়ার্ডে চঞ্চলা চাকমা (১২৯২) এবং সাধারণ ওয়ার্ডে মো. হোসেন-১ (৬৪১), ওবায়দুল হক-২ (৪৫৩), বাহার উদ্দিন-৩ (৩০৪), নুরুল আলম-৪ (৩৮০), শহীদুল ইসলাম-৫ (৬৭৬), নাজিম উদ্দিন-৬ (৩৮০), পারভেজ আলী-৭ (৪৮৮), উৎপল তালুকদার-৮ (৪৪০) ও নুরুল হক তালুকদার-৯ (৩৪৬)।
উল্লেখ্য, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি নতুন নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর তাদের অধীনে রাঙামাটি বাঘাইছড়ি পৌরসভা ছিল প্রথম নির্বাচন। এ নিবার্চনের সফলতা নিয়ে যাত্রা শুরু করলো নতুন নির্বাচন কমিশন।।
বিডি-প্রতিদিন/১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭/মাহবুব