বান্দরবানের লামায় বেপরোয়াভাবে চলছে মোটরসাইকেল। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। ভাড়ায় চলার কোন নিয়ম না থাকলেও ৪/৫ জন যাত্রী নিয়ে প্রায় পাঁচ শতাধিক মোটরসাইকেল চলছে উপজেলার বিভিন্ন সড়কে। হাসপাতালের গত ছয় মাসের রেকর্ড পর্যালোচনা করে দেখা যায় ছোট-বড় মিলে প্রায় সোয়া দুই হাজার দুর্ঘটনা ঘটেছে উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে। স্থায়ী পঙ্গুত্ব বরণ করেছে দুই শতাধিক মানুষ। তাছাড়া সহজে পরিবহনযোগ্য হওয়ায় মাদক পাচারসহ নানান অপকর্ম সংঘটিত হচ্ছে অনিয়ন্ত্রিত মোটরসাইকেল চলাচলে।
ট্রাফিক বিভাগের উদাসীনতাই নিয়ম না মানার প্রবণতা বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ পথচারীদের। অদক্ষ ড্রাইভার দুর্ঘটনার মূল কারণ বলে মনে করে লামা ট্রাফিক পুলিশ। অপরদিকে লোকবলের স্বল্পতায় যথাযথ আইন প্রয়োগ সম্ভব হয় না বলে দাবি ট্রাফিক বিভাগের। শুধু আইন প্রয়োগ নয়, বাড়াতে হবে সামাজিক সচেতনতা এমন মতামত দিলেন সচেতন নাগরিক ফোরাম। অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই ও বেপরোয়া মোটরসাইকেল চলার বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত অভিযান চালাচ্ছে উপজেলা প্রশাসন ও ট্রাফিক বিভাগ। তারপরেও নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না মোটরসাইকেল চলাচল।
পথচারী অনেকে জানায়, শুধু নিয়ম নেই যেন মোটরসাইকেলের। কখনো উঠে যাচ্ছে ফুটপাতে। কখনো উল্টো পথে, কখনো নিষিদ্ধ বাঁকে মোড় নিয়ে, কখনো আবার বিপদজ্জনক গতিতে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে নগরজুড়ে। প্রতিদিনকার এই উৎপাতে সাধারণ পথচারী জানালেন ক্ষোভের কথা।
লামা ট্রাফিক পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর বলেন, বিআরটিএ'র হিসাব অনুযায়ী দেশের ছয় দশমিক সাত ভাগ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী মোটরসাইকেল। মোটরসাইকেলের বেপরোয়া ব্যবহার বন্ধে জরিমানা বাড়িয়ে আইন সংশোধন প্রস্তাবের কথা জানালেন তিনি।
মানবাধিকার কমিশন লামা পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. তৈয়ব আলী বলেন, দ্বিচক্র যানের দৌরাত্ম কমাতে কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে ট্রাফিক বিভাগকেই।
লামা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খিন ওয়ান নু বলেন, আরোহী বা চালককেই সচেতন হতে হবে সবার আগে। বেপরোয়া মোটরসাইকেল বন্ধে প্রতিনিয়ত মোবাইল কোর্টের অভিযান চলছে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ