বগুড়ার ধুনট উপজেলায় নির্বাচন ও বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় চৌকিবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের নারী সদস্যসহ ৩ জন আহত হয়েছে। বুধবার সকাল ৮টার দিকে ধুনট উপজেলার রুদ্রবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের নারী সদস্য ও রুদ্রবাড়িয়া গ্রামের বেলাল হোসেনের স্ত্রী রেহেনা বেগম (৪৫), তার ছেলে রনি রানা (২৪) ও পুত্রবধু রুবিনা খাতুন (২০)। আহতরা ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের হাসেন আলীর ছেলে আব্দুল মালেক ও আলতাব হোসেনের সাথে রেহানা বেগমের বিরোধ হয়। সেই বিরোধের জের থেকেই দু’পক্ষের মধ্যে নতুন করে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়।
বুধবার সকালের দিকে ইউপি সদস্যর বাড়ি কেটে নিজের জমির ভেতর দখল নেওয়ার চেষ্টা করে আব্দুল মালেক ও তার লোকজন। এছাড়া ইউপি সদস্যর বাড়ির সীমানায় কাঁটা দিয়ে বেড়া তৈরি করছিলেন আব্দুল মালেকের শ্রমিকেরা। এ সময় বাধা দেওয়ায় আব্দুল মালেক ও তার লোকজন ইউপি সদস্যর ছেলে ও পুত্রবধূকে মারপিট করতে থাকে। তাদের রক্ষা করতে ঘটনাস্থলে গেলে ইউপি সদস্য রেহেনা বেগমকে পিটিয়ে আহত করে হামলাকারীরা।
ইউপি সদস্য রেহেনা বেগম বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আব্দুল মালেক ও আলতাব হোসেনের সাথে বিরোধ হয়। সেই বিরোধের জের ধরে তারা আমাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা করে আসছে। বুধবার সকালে আমার বাড়ি কেটে জমি তৈরি করছিল মালেক ও তার শ্রমিকেরা। এ সময় বাধা দিলে তারা আমাকে, আমার ছেলে ও পুত্রবধূকে পিটিয়ে আহত করেছে। এ ঘটনায় মামলায় প্রস্ততি চলছে।
এ বিষয়ে আব্দুল মালেক বলেন, আমার জমির সীমানা ঘেসে ইউপি সদস্য ঘর উত্তোলন করায় চাষাবাদ ব্যহত হয়। বুধবার সকালের দিকে ওই জমির আইল কেটে পরিচর্যা ও জমির সীমানায় গাছ লাগিয়ে বেড়া দেওয়ার সময় ইউপি সদস্য ও তার ছেলে গালিগালাজ করে। তাদের সাথে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
ধুনট থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। কিন্ত এ বিষয়ে এখনও কেউ অভিযোগ করেনি। তবে, অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/১৯ এপ্রিল ২০১৭/হিমেল