বাগেরহাটের শরণখোলায় শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করায় ইমরান হোসেন (১৫) নামের এক শিক্ষার্থীকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আহত করেছে বখাটেরা। এ ঘটনার প্রতিবাদ ও বখাটেদের শাস্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাট-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা আঞ্চলিক মহাসড়কের পহলান বাড়ী এলাকায় সড়ক অবরোধ করে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এতে সড়কের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অপরাধীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে বিকাল ৩টার দিকে অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষোভকারীরা।
পুলিশ জানায়, আহত ইমরান শরণখোলার বাধাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির ছাত্র। বুধবার সন্ধ্যায় ধানসাগর ইউনিয়নের পহলানবাড়ী এলাকায় তার ওপর হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় রাকিব (১৮) নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ। আহত ইমরানকে শরণখোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক আলমগীর হোসেন জানান, তাদের বিদ্যলয় ছুটি হলেই স্থানীয় কিছু বখাটে ছেলে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে। ওইসব বখাটেরা কোনো বাধা নিষেধ মানে না। তাদের কেউ কিছু বলারও সাহস পায় না। ইমরান বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্তকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। এতে তারা চরমভাবে ক্ষিপ্ত হয়। ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে ইমরান পহলান বাড়ী বাজারে যাওয়ার পথে রাকিব, সোহেল, রাসেল, রাজুসহ ১০ থেকে ১২ বখাটে চাপাতি ও কাচের বোতল দিয়ে তার মাথা ও বুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। ওইসময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে ইমরানকে উদ্ধার করে শরণখোলা হাসপাতালে ভর্তি করেন।
শরণখোলার বাধাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বখাটেদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল জলিল জানান, হামলাকারীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয়। ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে একজনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/২০ এপ্রিল, ২০১৭/ফারজানা