ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের খামার মুন্দিয়া গ্রামে ছাগলে পাট খেতে খাওয়াকে কন্দ্রে করে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ওয়াহিদুল ইসলাম (৩৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। সে ওই গ্রামের গোলাপ শেখের ছেলে। এ ঘটনায় সাদ্দাম হোসেন ও শহিদুল ইসলামকে পুলিশ আটক করেছে।
কালীগঞ্জ থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার খামারমুন্দিয়া গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছাগল গতকাল সকাল ৯টার দিকে শাজাহান আলীর খেতের পাট খেয়ে ফেলে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে তক-বিতর্ক হয়। এরই জের ধরে গেল রাত ১০ টার দিকে বিষয়টি নিয়ে রায়গ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপু উভয়পক্ষের ও সামাজিক লোকজন নিয়ে বৈঠকে বসে। বৈঠক চলাকালে শাজাহানের লোকজন উত্তেজিত হয়ে সালিশ বৈঠকের উপর হামলা চালায়। এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ওয়াহিদুল ইসলাম মারাত্বক আহত হয়। তাকে প্রথমে কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ২টার দিকে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় আহত হন আরও তিনজন। তারা হলেন রায়গ্রাম ইউপির সদস্য ইসমাইল হোসেন, জালাল উদ্দিন ও দিদার হোসেন।
পুলিশ এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে দুইজনকে আটক করেছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ