''একাত্তরে রাজাকারদের হাতে স্বজন হারিয়েছি। এখনও রাজাকার ও তাদের পরিবারের সদস্যরা আমাদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে। কিন্তু কোথাও বিচার পাচ্ছি না।'' আজ রবিবার বিকেলে কিশোরগঞ্জ জেলা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরাম কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এভাবে বিচারের আকুতি জানিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন শহীদ পরিবারের সন্তান আব্দুল ছালেক।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার গয়েশপুর গ্রামে তাদের বাড়ি। মুক্তিযুদ্ধের সময় তার বাবা শামছুদ্দিন, চাচা মইজুদ্দিন ও রইছ উদ্দিন, দাদি হাকিমুন্নেছাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল একই গ্রামের রাজাকার সৈয়দ আহম্মেদ, তার ভাই মতি মিয়া, হাবিবুর রহমানসহ অন্যরা। স্বাধীনতার ৪৬ বছরেও তারা এসব হত্যাকাণ্ডের কোনো বিচার পাননি। শুধু তাই নয়, রাজাকার ও তাদের সন্তানরা এখনও শহীদ পরিবারটির ওপর নানাভাবে অত্যাচার নির্যাতন চালাচ্ছে। গত ১৬ জানুয়ারি দুপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। হামলায় ছালেকের ভাই সাহাব উদ্দিন ও ভাতিজা কামরুজ্জামান গুরুতর আহত হন। তাদেরকে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে আব্দুল ছালেক বাদী হয়ে ১৭ জানুয়ারি সৈয়দ আহম্মেদসহ ১৩ জনকে আসামি করে নান্দাইল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে একইদিন হামলার ঘটনা উল্লেখ করে সৈয়দ আহম্মেদের ভাই ওমর ফারুক পাল্টা একটি মামলা দায়ের করেন। এতে আসামি করা হয় শহীদ পরিবারের সন্তান ছালেকসহ সাতজনকে। সংবাদ সম্মেলনে ছালেক অভিযোগ করেন, হামলায় তার ভাতিজা কামরুজ্জামানের শরীরে তিন ইঞ্চি গভীর ক্ষত এবং ভাই সাহাব উদ্দিনের বৃদ্ধাঙ্গুলি ভেঙে গেছে।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে ছালেক বলেন, আমরা একাত্তরে যাদের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছিলাম, এখনও তাদের দ্বারাই নির্যাতিত হচ্ছি। তিনি এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ