চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জ-বাগুন্দা সড়কে গাছ ফেলে এবং সদর উপজেলার টেংরামারী ও চাঁদপুর গ্রামে অস্ত্রের মুখে গণডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা পথচারীদের গাছে বেঁধে রেখে ও বাড়ির লোকজনের মাথায় অস্ত্র ধরে লুটপাট চালায়। স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন ও টাকা হাতিয়ে নেয় তারা। সোমবার রাতে পৃথক তিনটি স্থানে ডাকাতির এ ঘটনা ঘটে। রমজানের শুরুতেই ডাকাতির ঘটনায় এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ ডাকাতির ঘটনা অস্বীকার করলেও সড়কে ছিনতাই হয়েছে বলে জানিয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রাত সাড়ে ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ-বাগুন্দা সড়কের মাইলপোঁতা নামক স্থানে সড়কে গাছ ফেলে ব্যারিকেড দেয় ডাকাতরা। এ সময় দুটি মোটরসাইকেল ও একটি আলমসাধুর গতিরোধ করে লুটপাট চালায়। পরে আলসডাঙ্গার পোলবাগুন্দার ধনেপাতা ব্যবসায়ী কামাল হোসেন ও দত্তাইল গ্রামের খাইরুলকে গাছে বেধে টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এ সময় ডাকাতির স্বীকার হন পোলবাগুন্দার বিপুল হোসেন, আনিছুর রহমান, পলাশ, নয়নসহ অজ্ঞাতনামা বেশ কয়েকজন। তাদেরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে লুটপাট চালায় ডাকাতরা।
একই রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার টেংরামারী গ্রামের আবুল মন্ডলের তিন ছেলে শান্তি, ইসানুর ও লিয়াকত আলীর বাড়িতে ১২-১৪ জনের একদল মুখোশধারী ডাকাত হানা দেয়। ডাকাতরা গৃহকর্তাদের মাথায় রাম দা ধরে এক লাখ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। এ সময় গ্রামবাসী প্রতিরোধ গড়ে তুললে তারা বোমা মারার ভয় দেখিয়ে পার্শ্ববর্তী চাঁদপুর গ্রামে চলে যায়। ওই গ্রামের গরু ব্যবসায়ী বাদল হোসেনের বাড়িতে দ্বিতীয় দফায় লুটপাট চালায় ডাকাতরা।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি তোজাম্মেল হক বলেন, ‘সরোজগঞ্জ-বাগুন্দা সড়কে ছিনতাইয়ের ঘটনা শুনেছি। কিন্তু টেংরামারী ও চাঁদপুর গ্রামে ডাকাতির বিষয়টি আমার জানা নেই।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার