ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাতে লামায় তিন সহাস্রাধিক বাড়িঘর লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। গাছ পড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ২ জন। আহতরা হলো, লামা সদর ইউনিয়নের কামরুল (১) ও রুপসীপাড়া ইউনিয়নের ক্যসিং থোয়াই মার্মা (৪০)। আহতদের লামা হাসপাতালে নিয়ে আসলে তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য নৌ-পথে বাহিরে নেয়ার সময় ক্যসিংথোয়াই মার্মা মারা যায়। আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে ঘূর্ণিঝড়ের এ তান্ডব। জানা যায়, ১১০ থেকে ১৩৫ কিলোমিটার বেগে লামায় আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় 'মোরা'।
এদিকে লামা-চকরিয়া রোডের দু'পাশের গাছ পড়ে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। প্রচুর গাছপালা ভাঙার কারণে অসংখ্য বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে গেছে। যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে ৫-১০ দিন লাগতে পারে বলে জানায় লামা বিদ্যুৎ অফিস এবং সড়ক ও জনপদ বিভাগ। প্রচন্ড বাতাসে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়া কাঁচাপাকা বাড়ির লোকজন এখন খোলা আকাশের নিচে। বেশ কয়েক জায়গায় পাহাড় ধস হলেও কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। স্থানীয় জনসাধারণকে স্ব-উদ্যোগে রাস্তায় উপর ভেঙে পড়া গাছপালা অপসারণ করতে দেখা যায়।
সমগ্র উপজেলায় ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে দমকা বাতাসে উপড়ে পড়েছে লাখ লাখ গাছপালা। আশ্রয়হীন মানুষের নিরাপদ অবস্থানের জন্য বিদ্যালয়গুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করলেও সেখানে দেখা দিয়েছে নিরাপদ পানি ও খাবারের সংকট। ভুক্তভোগী জনগণ জানায়, তাদের কাছে এখনো কোন প্রকার সরকারি ও বেসরকারি সহায়তা পৌঁছায়নি।
উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী বলেন, পরিস্থিতি মোকাবেলায় শুকনা খাবার, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হবে। ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা স্ব-স্ব এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের নামের তালিকা তৈরি করছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার