পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক ও চাকামইয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মজিবর রহমান ফকির-সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। চাঁদাবাজি ও হত্যা চেষ্টায় মারধর, বাড়িঘর ভাঙচুরসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে আজ একাই ইউনিয়নের বেতমোর গ্রামের কৃষক আলম হাওলাদার উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলাটি দায়ের করে। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য কলাপাড়া থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। বর্তমানে ওই কৃষক পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীন রয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করেছে।
মামলায় বলা হয়েছে, আসামিরা দুর্দান্ত দস্যু, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ প্রকৃতির লোক। কচুপাত্রা মৌজার খাস খতিয়ানের ৩৮০৭ নম্বর দাগের এক একর জমি ২০১১/২০১২ সালে বন্দোবস্ত পেয়ে ঘর তুলে কৃষক আলম বসবাস করে আসছেন। ওই বাড়ি থেকে উৎখাতের জন্য আসামিরা পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। যা না পেয়ে ১৯ মে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আলমের বসতঘর ভেঙে দেয়। বেড়া-খুটি উপড়ে ফেলে দেয়। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে কলাপাড়া প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়ায় ক্ষীপ্ত হয়ে ফের কৃষক আলমকে ২৭ মে বিকেলে মারধর করা হয়।
আলম আরও জানায় বর্তমানে মজিবর ফকিরসহ বাচ্চু তালুকদার, কালাম চৌকিদার তাকে সর্বদা হুমকি দিয়ে আসছে। এ ব্যাপারে মজিবর ফকির জানান, এলাকার মানুষের করা ঘরবাড়ির মধ্যে ভুয়া কার্ড করে হয়রানি করে আসছে আলম। যার প্রতিবাদ করায় ষড়যন্ত্র করে এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। চাঁদাবাজি-সহ হত্যাচেষ্টা ও মারধরের ঘটনায় তাকে জড়ানোর ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে তিনি সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন।
উল্লেখ্য, চারদলীয় জোট সরকারের সময় মজিবর ফকিরকে র্যাবসহ থানা পুলিশ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারণে একাধিকবার গ্রেফতার করেছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার