রাঙামাটিতে পাহাড় ধসে বিধ্বস্ত সড়ক উন্নয়নের টেকসই পরিকল্পনার জন্য সড়ক ও জনপদ বিভাগকে সুপারিশ করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব।
শুত্রবার দুপুর ১টায় রাঙামাটিতে পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের এসব কথা বলেন উপমন্ত্রী।
উপমন্ত্রী বলেন, একই সঙ্গে পাহাড় ধসে ঘর-বাড়ি হারা মানুষদের পুনর্বাসন করারও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। তার জন্য কয়েকটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। পাহাড়ি অঞ্চলগুলো বন মন্ত্রণায়য়ের আওতাধীন না। তারপরও যেহেতু পরিবেশের বিষয় সেজন্য আমরা সরজমিন পরিদর্শন করে দেখেছি। এ অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুযোর্গে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে মানুষের প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। তাই ভবিষ্যতে যাতে প্রাকৃতিক দুযোর্গে নতুন করে কোনও মানুষের প্রাণহানির ঘটনা না ঘটে সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে সচেতনামূলক প্রদেক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
উপমন্ত্রী আরও বলেন, সাধারণত অন্যান্য অঞ্চলে যেসব সড়ক হয়, তা কিন্তু পাহাড়ি অঞ্চলে হয় না। তাই এ অঞ্চলে সড়ক উন্নয়নের কাজ চিন্তা করে করতে হবে। তার জন্য সংসদীয় কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল (এলজিইডি) এবং সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগকে এ বিষয়ে সুপারিশ করা হবে। যাতে পাহাড়ি অঞ্চলের সড়ক উন্নয়ন কাজ যেন টেকসই এবং আধুনিক প্রযুক্তিসম্পূর্ণ ও উন্নত পরিকল্পিত হয়।
পরিদর্শন শেষে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার উপর একটা প্রতিবেদন তৈরি করে সুপারিশমালা মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো। কারণ সরকার চায় ভবিষ্যৎ দুযোর্গে যাতে আর কোন সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। তার জন্য যত রকম সহযোগীতার প্রয়োজন সরকারের পক্ষ থেকে করা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান, পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান, রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের ভারপাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দীন, জেলা পরিষদের সদস্য মোনয়ারা বেগম প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/১৪ জুলাই ২০১৭/আরাফাত