ফরিদপুরের নগরকান্দায় ক্লাস বন্ধ রেখে দুই শতাধিক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে র্যালি করায় শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। জাতীয় স্যানিটেশন মাস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আয়োজনে আজ নগরকান্দা পৌর এলাকার বিভিন্ন সড়কে এ র্যালি করা হয়।
র্যালিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশরাত জাহান, উপজেলা জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী আকবর মোল্যাসহ ৫-৬ জন কর্মচারী এবং উপজেলা সদরের এস এম এ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়। ক্লাস বন্ধ রেখে রোদের মধ্যে বিভিন্ন সড়কে শিক্ষার্থীদের নিয়ে র্যালি করায় অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
একাধিক অভিভাবক জানান, র্যালিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষদের উপস্থিত রাখার কথা থাকলেও, তা না করে শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের এনে র্যালি করা হয়। এর আগেও বিভিন্ন দিবস পালন উপলক্ষে শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের উপস্থিত করে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা র্যালিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। ক্লাস চলাকালীন শিক্ষার্থীদের রাস্তায় এনে রোদের মধ্যে র্যালি করতে বাধ্য করা হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের শারীরিক, মানসিক ক্ষতিসহ লেখা পড়া মারাত্মক ভাবে ব্যহত হচ্ছে।
তারা আরো জানান, নগরকান্দা উপজেলা সদরের স্কুল গুলোতে বিভিন্ন বোর্ড পরীক্ষার কেন্দ্র হওয়ায় এবং সরকারি অন্যান্য ছুটি থাকায় বছরের বেশীর ভাগ সময় স্কুল বন্ধ থাকে। এ সময় লেখা পড়ার মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। এর পর যদি উপজেলার বিভিন্ন অফিস ও এনজিও তাদের র্যালি সফল করার জন্য বার বার শুধু শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে, তাহলে এটা খুবই দুঃখজনক।
এস এম এ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুব আলী মিয়া বলেন, উপজেলা জনস্বাস্থ্য উপ সহকারী প্রকৌশলী সাহেব মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমার নিকট র্যালি করার জন্য ১ শত ৫০ জন শিক্ষার্থী চেয়েছিল।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য উপ সহকারী প্রকৌশলী আকবর মোল্যা জানান, শিক্ষার্থীদের অতি সহজে পাওয়া যায় বিধায় তাদেরকে এনে র্যালির কাজটা সেরেছি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শরীফ মোহাম্মাদ মোর্তুজা আহসান বলেন, ক্লাস বন্ধ রেখে শিক্ষার্থীদের এনে র্যালি করানো ঠিক হয়নি। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশরাত জাহান বলেন, র্যালির করার সময় ক্লাস চলছে, এটা আমি অবগত না। তবে ভবিষ্যতে এ ধরনের কোন ঘটনা আর না ঘটে, সে দিকে নজর রাখা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার