ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের বরিশালের গৌরনদী উপজেলা এলাকার ২০ কিলোমিটার অংশ খানাখন্দের কারণে যানবাহন চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। এতে দুর্ঘটনা ঘটছে অহরহ। বৃষ্টি হলে পুরো মহাসড়ক জুড়ে কাদায় একাকার হয়ে যায়। এছাড়া খড়ায় (রোদে) ওই মহাসড়ক থেকে কোন যানবাহন গেলে পুরো এলাকা ধূলায় অন্ধকার হয়ে যায়। এতে প্রতিনিয়ত নাকাল হচ্ছেন চালক, যাত্রী, পথচারী এবং মহাসড়ক সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক মাস ধরে মহাসড়কের ছোট-বড় অসংখ্য গর্তে ইট ও বালু দিয়ে নামমাত্র জোড়াতালি দেয়া হলেও তা দির্ঘ স্থায়ী হচ্ছেনা। মাঝে মধ্যে মহাসড়কের গর্ত মেরামত করা হলেও সামান্য বৃষ্টিতে সেগুলো উঠে যায়। এ কারনে মহাসড়ক পুরনো রূপে (খানাখন্দে) ফিরে আসে। গত কয়েক দিনের প্রখর রোদে মহাসড়কের গৌরনদীর ভূরঘাটা থেকে উজিরপুরের জয়শ্রী পর্যন্ত অংশে ধুলায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। মহাসড়কের পাশ দিয়ে চলতে গিয়ে ধুলো-বালুর মধ্যে নাক ও মুখ চেঁপে ধরে চলাচল করতে হচ্ছে আশপাশের মানুষদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার ভূরঘাটা, খাঞ্জাপুর, ইল্লা, বার্থী, তাঁরাকুপি, কটকস্থল, সুন্দরদী, কসবা, গৌরনদী, আশোকাঠী, কাছেমাবাদ, বেজহার, মাহিলাড়া, বাটাজোর এলাকায় ও উজিরপুর উপজেলার এলাকায় ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। মহাসড়কের বেহাল দশার কারণে প্রতিনিয়তই যানবাহন বিকল হচ্ছে। যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়েও গন্তব্যে পৌঁছতে দ্বিগুণ সময় লাগছে।
গৌরনদী হাইওয়ে থানার ওসি মো. শাহাদাত হোসেন জানান, মহাসড়কের বেহাল দশার কারনে ভারী যানবাহন চলাচল করার সময় প্রায়ই মহাসড়কের বিভিন্ন গর্তে গাড়ির চাকা দেবে গিয়ে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। দুর্ঘটনাও ঘটছে প্রায়ই।
বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খোন্দকার গোলাম মোস্তফা জানান, বৃস্টির কারনে বিটুমিন দিয়ে টেকসই সংস্কার করা যাচ্ছেনা। প্রায় প্রতিদিনই সাময়িক মেরামত চলছে। পুরো রোদ পেলেই পুরোদমে মহাসড়ক সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে বলে তিনি জানান।
বিডিপ্রতিদিন/ ০২ নভেম্বর, ২০১৭/ ই জাহান