সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের জামিরতা-ভাটপাড়া এলাকায় নদীতীর রক্ষা বাঁধে ধস নেমেছে। চারটি পয়েন্টে ধস নেমে প্রায় ৫শ' মিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। শুষ্ক মৌসুমে বাঁধ ধসে যাওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে এখন পর্যন্ত পাউবো ধস রক্ষায় ব্যবস্থা গ্রহন করেনি।
স্থানীয়রা জানান, শাহজাদপুর উপজেলা রক্ষায় ২০০৯ সালে পাবনার কৈটোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রায় তিনশ কোটি টাকা ব্যয়ে শাহজাদপুরের কৈজুরী থেকে পাবনার বেড়ার বিনোটিয়া পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার বাঁধটি নির্মাণ করেন। এরপর থেকে বাঁধটি সংস্কার বা সঠিক কোন তদারকির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এ অবস্থায় গত রাত থেকে হঠাৎ করে জামিরতা-ভাটারা এলাকার চারটি পয়েন্টে ধস দেখা দেয়। মুহুর্তের মধ্যে প্রায় একটি পয়েন্টে ২শ' মিটার ও বাকী তিনটি পয়েন্টে আরো তিনশ' মিটার এলাকা বিলীন হয়ে যায়। এতে হুমকির মুখে পড়েছে বসতভিটা ও আবাদি জমিসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে পাউবো এখনো কোন কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় স্থানীয়দের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ তদারকির অভাবে ১শ' বছর টেকসই বাঁধটি মাত্র সাত বচরের মাথায় বারবার ভাঙ্গণ ও ধসের কবলে পড়েছে।
হোরদিঘুলিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নূরজাহান খাতুন জানান, বিদ্যালয়ে সাড়ে ৪শ'র উপরে ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। বিদ্যালয়টি নদীতে বিলীন হয়ে গেলে এদের শিক্ষা জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
গুদিবাড়ি ও ভাটপাড়া গ্রামের ইসমাইল হোসেন, কায়েম উদ্দিন ও চায়না খাতুন জানান, ভাঙ্গন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটে। বসতভিটা নদীতে বিলীন হলে একেবারে নিঃস্ব হয়ে পড়তে হবে। ভাঙ্গণ মুখে থাকা এসব পরিবার দ্রুত ভাঙ্গণ রোধে তারা কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন।
কৈজুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম জানান, ভাঙ্গণের বিষয়টি পাউবোকে অবহিত করা হলেও এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
পাবনার কৈটোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবিব জানান, ভাঙ্গণ রোধ বা সংস্কারে কোন বরাদ্দ নেই। ভাঙ্গণের বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। সার্ভে রিপোর্ট নিয়ে ঢাকায় যেতে বলা হয়েছে। সবকিছু দেখার পর বরাদ্দ পেলে শুষ্ক মৌসুমে বাঁধটি সংস্কার করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন