মেঘনার ভয়াবহ ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগরের বিস্তীর্ণ জনপদ। নতুন করে হুমকির মুখে রয়েছে কমলনগরের ৫টি ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকা।
সম্প্রতি ভাঙ্গণ প্রতিরোধে কমলনগরের ১ কিলোমিটার নদী তীর রক্ষা বাঁধের নির্মাণ কাজ শুরু হলেও তা শেষ না হতেই নির্মিত বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। এতে করে এ উপকুলের বাসিন্দারা রয়েছে চরম আতঙ্কে। প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলও করতে দেখা গেছে তাদের। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জানা যায়,
গত কয়েক বছর ধরে মেঘনার অব্যাহত ভয়াবহ ভাঙ্গণে বিলীন হয়ে গেছে মসজিদ, মাদ্রাসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। বর্তমানে প্রতিদিনই ভাঙ্গছে নতুন নতুন এলাকা, ধ্বংসস্তুপে পরিণত হচ্ছে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন। হুমকির মুখে রয়েছে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স, কমলনগর থানা, হাজির হাট বাজারের সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে জোয়ারের পানি ও বৃষ্টির কারণে কমলনগরের চরকালকিনি, চর ফলকন, সাহেবের হাট, পাটারীর হাট ইউনিয়ন ও রামগতির আসলপাড়ায় ভাঙ্গণ তীব্র আকার ধারণ করেছে।
এসব এলাকায় এখন অনেকে ঘর বাড়ি সরিয়ে আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করছেন নিরাপদ স্থানে। এ অবস্থায় নদী ভাঙ্গণ রোধের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করতে দেখা গেছে স্থানীয়দের।
এদিকে ভাঙ্গণ কবলিত এলাকাবাসীর মতে রামগতি ও কমলনগরে ৫কিলোমিটার এলাকায় নদী তীর রক্ষা বাঁধের জন্য প্রায় ২শ’কোটি টাকা বরাদ্ধ দিয়েছে বর্তমান সরকার। পৌর আলেকজান্ডার এলাকায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার কাজ শেষ হয়েছে। এখন রামগতির মাছ ঘাটের ১কিলোমিটার ও কমলনগরে ১ কিলোমিটারের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
এই ৫ কিলোমিটার বাঁধে ভাঙ্গণ রোধে যথেষ্ট নয় বলে মনে করছেন তারা। কমলনগরে আরো সাড়ে ৮কিলোমিটার এলাকা বাঁধ দেয়া না হলে দুই’শ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত বাঁধ নদী গর্বে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
ইতিমধ্যে কাজ শেষ না হতেই বিভিন্নস্থানে ধ্বসও দেখা দিয়েছে। এতে করে আতঙ্কিত রয়েছে উপকুলবাসী।
লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী গাজী ইয়ার আলী বলছেন, প্রতিরক্ষা বাঁধের ৫ কিলোমিটার এলাকার কাজ প্রায় শেষের দিকে রয়েছে, কমলনগরে নতুন করে ভাঙ্গণ দেখা দেয়ায় ইতিমধ্যে সাড়ে ৮কিলোমিটার প্রতিরক্ষা বাঁধের জন্য সাড়ে ৬’শ কোটি টাকার একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে কাজ শুরু করা হবে বলে জানালেন এই কর্মকর্তা।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন