আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই সকল ধর্মের মানুষ শান্তিতে বসবাস করছে। আজ মানুষ না খেয়ে মরছে না। একজন শ্রমিক দৈনিক ৫শ’ টাকা মজুরি পেয়ে তাদের পরিবারকে নিয়ে নিরাপদে দিন কাটাচ্ছে। এটাই জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিলো। তিনি চেয়েছিলেন ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি সোনার বাংলাদেশ সে কারণে ঘাতকরা ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছিলো। আজ তারই উত্তরসূরি জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বাংলাদেশের এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আবারো জননেত্রী শেখ হাসিনার নৌকা প্রীতকে ভোট দেওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আ’লীগ আবারো সরকার গঠন করবে।
বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমানের উদ্যোগে রবিবার বিকেলে বাগেরহাট শহরের দড়াটানা নদীতে নৌকাবাইচ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন একথা বলেন। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহি এই নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতায় আবহমান বাংলার চিরচেনা সংস্কৃতির ধারায় এ নৌকাবাইচকে কেন্দ্র করে দড়াটানা নদীর দু কিলোমিটার জুড়ে দু’পাড়ে হাজার হাজার দর্শানার্থীর আগমন ঘটে।
রবিবার বেলা ৩টায় ভৈরব নদের মুনিগঞ্জ থেকে দড়াটানা ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এ নৌকাবাইচ অনুষ্ঠিত হয়। বাগেরহাট জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল এবং পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে হাজার হাজার নারী পুরুষ এই নৌকাবাইচ এক নজর দেখার জন্য দূর দূরান্ত থেকে বাগেরহাট শহরে এসে প্রায় তিন কিলোমিটর জুড়ে নদীর দুই প্রান্তে দাঁড়িয়ে এই বাইচ উপভোগ করে। প্রতিযোগিতার উদ্বোধন ঘোষণার সাথে সাথে ঢাক, ঢোল ও বাজনার ছন্দে বাইচারদের কণ্ঠে ছিল উন্মাদনার সুর। আর নৌকায় গতি আনতে বাইচাররা তাই সুর করে ধরেছিল জারি গান “হেইয়া রে হেইয়া”। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহি এ প্রতিযোগিতায় এবার ১৬টি দল অংশ গ্রহণ করায় গ্রুপ করে তিন ভাগে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
নৌকাবাইচে অংশ গ্রহণকারী ১৬টি দলের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন জেলা আওয়ামী লীগনেতা তালুকদার নাজমুল কবির ঝিলামের ১১নং নৌকা, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন ভাই ভাই জলপরী ৬নং নৌকা ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেন মিঠু চেয়ারম্যানের ৮নং নৌকা। এছাড়াও প্রতিযোগিতায় পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমানের সহধর্মিণী রানু বেগম ও প্যানেল মেয়র বাগেরহাট প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ বাকি তালুকদারের সহধর্মিণী তালুকদার রিনা সুলতানার নেতৃত্বে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে দুটি নৌকা নিয়ে মহিলা বাইচ দল প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। যার মধ্যে তালুকদার রিনা সুলতানার নৌকা প্রথম স্থান অধিকার করে।
বাইচ শেষে বাগেরহাট শহর রক্ষা বাঁধ পার্কে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে পৌর সভার মেয়র খান হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্বা শেখ কামরুজ্জামান টুকুর পরিচালনায় এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ ডাঃ মোজাম্মেল হোসেন, বাগেরহাট সদর (দুই) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ অ্যাডঃ মীর শওকাত আলী বাদশা, বাগেরহাট, সংরক্ষিত মহিলা সাংসদ হেপী বড়াল, শেখ হেলাল উদ্দিনের পত্নি মিসেস রুপা চৌধুরী, কন্যা মিসেস অনন্না, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ দিদার আহম্মেদ, র্যাব-৬ এর পরিচালক খন্দকার রফিকুল ইসলাম, জেলাপ্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস, পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন শেখ হেলাল উদ্দিনের সহকারী মোঃ ফিরোজুল ইসলাম, বাগেরহাট পৌরসভার প্যানেল মেয়র আলহাজ বাকী তালুকদার, জেলা মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য মিসেস রিনা তালুকদার, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি রেজাউর রহমান মন্টু, সাধারণ সম্পাদক খান আবু বক্কার, জেলা যুবলীগ আহবায়ক সরদার নাসির উদ্দিন, যুগ্ম আহবায়ক মোঃ শাহনেওয়াজ দোলন মোল্লা, মোঃ ফারুক তালুকদার, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আবুল হাসেম শিপন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনি মল্লিক, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বশিরুল ইসলাম, সম্পাদক ইবনে মিজান হিরু, মোঃ ফারুক সরদারসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন