টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ১০ নং রসুলপুর ইউনিউয়ন পরিষদের সদস্য মো. আব্দুল হালিমের বিরুদ্ধে এক গার্মেন্টস কর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ধর্ষিতা বাদী হয়ে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য ধর্ষক আব্দুল হালিম ও তার লোকজন বাদিকে প্রতিনিয়ত প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে আসছে। একারণে বাদি ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার খাজনাগড়া গ্রামের এক গার্মেন্টকর্মীকে (২৩) একই উপজেলার বেইলা গ্রামের মৃত আবেদ আলীর ছেলে মো. আব্দুল হালিমের সাথে মোবাইলের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে আব্দুল হালিম তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয় এবং ঘাটাইলে আসতে বলে। পরে গত গত ৩০ সেপ্টেম্বর দুপুরে ওই গার্মেন্টকর্মী তার কর্মস্থল ঢাকার জামগড়া থেকে বাসে করে রওনা দেন বাড়ির উদ্যেশ্যে। সন্ধ্যায় আব্দুল হালিম মির্জাপুরের গোড়াই এলাকা থেকে ওই গার্মেন্টসকর্মীকে বাস থেকে নামিয়ে নিয়ে তার ভাড়া করা প্রাইভেট কারে তুলে নিয়ে তাদের বাড়িতে (আব্দুল হালিমের) নিয়ে যায়। সেখানে গার্মেন্টস কর্মী ওই তরুণীকে মুখে গামছা বেঁধে রাতভর ধর্ষণ করে আব্দুল হালিম। পরে ভোরে তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। ওইদিনই তরুণী বাড়িতে গিয়ে তার বাবা-মাকে সবকিছু খুলে বললে তারা মামলা করার জন্য ঘাটাইল থানায় গেলে পুলিশ মামলা নিতে টালবাহানা শুরু করে। পরে বাধ্য হয়ে গত ১৫ অক্টোবর ধর্ষিতা ওই তরুণী বাদি হয়ে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মো. আব্দুল হালিমকে আসামি মামলা দায়ের করেন। এদিকে মামলা দায়েরের পর থেকেই আব্দুল হালিম ও তার লোকজন ধর্ষিতার পরিবাররকে মামলা তুলে নিতে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে আসছে। এতে করে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে ধর্ষিতা ও তার পরিবার।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার