ছেলের প্রতিবন্ধী কার্ডের জন্য চেয়ারম্যান-মেম্বারদের দরজায় ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত প্রতিবন্ধী এলাহীর পিতা-মাতা। তাদের প্রশ্ন, আর কত দরজায় গেলে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড পাবে তাদের একমাত্র প্রতিবন্ধী ছেলে এলাহী? আর কতবার চেয়ারম্যান-মেম্বারদের তালিকায় নাম উঠালেই বা শেষ হবে তাদের দরজায় কড়া নাড়া? তালিকায় নাম উঠে অনেকের প্রতিবন্ধী কার্ড হয়েছে। অথছ এখনো প্রতিবন্ধী কার্ড জোটেনি তাদের কপালে!
শিশুকালেই হঠাৎ করে দুটি পা বেকে যায় শিশু এলাহীর। তারপর থেকে হাটতে পারে না সে। সাধ্য অনুযায়ী এলাকাবাসীর কাছ থেকে চাঁদা তুলে চিকিৎসা করেও ফল পাওয়া যায়নি। উন্নত চিকিৎসা দিলে হয়ত আজ প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড পাওয়ার জন্য চেয়ারম্যান-মেম্বরদের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হত না। কিন্তু চাল কলের একজন সামান্য শ্রমিক পিতার ভিটেমাটির সামান্য ৪ কাঠা জমি ছাড়া আর কিছুই নেই। এলাহী নাটোরের লালপুর উপজেলার কদিমচিলানের ধলা গ্রামের মজিরুদ্দিন প্রাং এর ছেলে।
এলাহীর মা সুকজান বলেন, শিশুকালে হঠাৎ জ্বর এসে তার দুই পা বেকে যায়। দিনমজুর পিতার সামর্থ্য যা ছিল, সব শেষ হয়ে গেছে তার চিকিৎসা করাতে গিয়ে। এই অভাবের সংসারেই চার মেয়ে বিয়ে দিয়েছি। এখন অভাব অনটনেই আমাদের দিন কাটে। কিন্তু চেয়ারম্যান-মেম্বাররা আমাদের দেখেও দেখে না।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান সেলিম রেজা মাষ্টার বলেন, এবার বরাদ্দ পেলেই এলাহীকে প্রতিবন্ধী কার্ড করে দেওয়া হবে। আমি তার বিষয়ে খোঁজ নিয়ে তার বাবাকে আশ্বাস দিয়েছি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার