সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে নোয়াখালীতে অধ্যয়নরত বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা। রবিবার দুপুর ১২টার দিকে নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের সড়কে বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। এর আগে, তারা নোয়াখালী সরকারি কলেজ থেকে একটি মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা জেলা শহরসহ বিভিন্ন স্থানে প্রয়োজনের তুলনায় চলমান অতিরিক্ত ইজিবাইক, অটোরিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা কমানো, প্রশিক্ষিত চালক দ্বারা যানবাহন চালানোর ব্যবস্থা করা, নোয়াখালী জেলা শহর থেকে চৌমুহনী পর্যন্ত টাউনবাস সার্ভিসের ব্যবস্থা করা, চৌমুহনী থেকে সোনাপুর পর্যন্ত বিকল্প সড়ক নির্মাণ, জেলা শহরের সংযোগ সড়কগুলো সংস্কার, দিনের বেলায় মাটি ও বালিবাহি পিকআপভ্যান চলাচল বন্ধ রাখা, যত্রতত্র দূরপাল্লার গাড়ি পার্কিং বন্ধ করা এবং শহরতলিতে সকল প্রকার যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান। তারা তথাকথিত দুর্ঘটনার নামে হত্যায় জড়িত চালকদেরও কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন। ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন-সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, নোয়াখালীর বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা।
তারা বলেন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা প্রশাসন ও পৌর প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় যানবাহনগুলো যার যার মতো করে চলছে এবং প্রতিদিন নতুন নতুন গাড়ি নামছে সড়কে। এতে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা বাড়ছেই। অনিয়ন্ত্রিত যানবাহন ও চালকদের অদক্ষতার কারণে গত ১৫ দিনে অন্তত ৫ জন শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে নোয়াখালীতে। এক সপ্তাহের মাথায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং নোয়াখালী সরকারি কলেজের মেধাবি দুই ছাত্রী মারা গেছে। এক ছাত্রী গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অথচ সংশ্লিষ্ট প্রশাসন নিরব। এমন হত্যার সঙ্গে যুক্ত একটি চালককেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। শিক্ষার্থীদের দাবী সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর অবহেলা ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে অহরহ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। মানববন্ধন-সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা সড়ক দুর্ঘটনাকে শুধু সড়ক দুর্ঘটনা না বলে এটাকে হত্যাকাণ্ডের আওতায় এনে দোষী চালকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/৩ ডিসেম্বর ২০১৭/হিমেল