বরিশাল ইনষ্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি) কলেজের ছাত্রী সাদিয়া আক্তারকে (২১) গণধর্ষণ শেষে হত্যার অভিযোগে সিরাজুল ইসলাম নামের এক যুবককে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সাদিয়া ওই কলেজের প্যাথলজি বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্রী এবং নগরীর ডেফুলিয়া খান বাড়ির আলমগীর হোসেন খানের মেয়ে। সিরাজুল মঠবাড়িয়ার খেজুরবাড়িয়া গ্রামের ইব্রাহীম হাওলাদারের ছেলে।
বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানার এসআই আব্দুল ওহাব জানান, গত ২০ নভেম্বর সাদিয়া নগরীর বাসা থেকে কলেজের উদ্দেশ্যে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় সাদিয়ার বাবা ২২ নভেম্বর কোতয়ালী মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। জিডির সূত্র ধরে এবং ওই ছাত্রীর মোবাইল নম্বার ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত শনিবার মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ সিরাজুল ইসলামকে আটক করে।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি কেএম তারিকুল ইসলাম জানান, জিজ্ঞাসাবাদে সিরাজ স্বীকার করেছে ঘটনার ১৫ দিন পূর্বে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ওই ছাত্রীর সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের কথা বলে গত ২০ নভেম্বর ওই ছাত্রীকে বরিশাল থেকে মঠবাড়িয়ায় নিয়ে তার সহযোগীদের নিয়ে একাধিকার ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষণের বিষয়টি ওই ছাত্রী ফাঁস করার হুমকি দেয়ায় তাকে হত্যা করে লাশ খালে ফেলে দেয়। এখন পর্যন্ত নিহত ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা যায়নি। ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্যদের আটকের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে।
ওসি আরও জানান, ঘটনাস্থল মঠবাড়িয়া হওয়ায় এ ঘটনায় মঠবাড়িয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়া চলছে।
বিডি প্রতিদিন/৩ ডিসেম্বর ২০১৭/হিমেল