পরীক্ষামূলকভাবে প্রাথমিক পর্যায়ে ময়মনসিংহের ত্রিশালের বালিপাড়া ইউনিয়নের ধলা স্কুল এন্ড কলেজে ১২ জন শিক্ষার্থীকে অক্টোবরের ১৫ তারিখে নিয়ে যাত্রা শুরু করে বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ বিগ্রেড। দু'মাসে বিগ্রেডের সফলতায় এবার পুরো উপজেলা জুড়ে এ কার্যক্রম শুরু করেছে উপজেলা প্রসাশন।
মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় নজরুল একাডেমির মাঠে উপজেলায় ১৩টি প্রতিষ্ঠানের ১৩৬ জন শিক্ষার্থী নিয়ে গঠিত হয় বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ বিগ্রেড। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক খলিলুর রহমান।
এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ ব্রিগেডের উদ্ভাবক আবু জাফর রিপনের সভাপতিত্বে এসিল্যান্ড এরসাদ হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠান উদ্ধোধন করেন ময়মনসিংহ ক্রীড়া সংস্থা ও লেডিস ক্লাবের সভাপতি শায়লা পারভীন। বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, ভাইস চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম, লুৎফুন্নেছা বিউটি, ত্রিশাল থানা অফিসার ইনচার্য জাকিউর রহমান, উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান আনম, শিক্ষা কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস, উপজেলা লেডিস ক্লাবের সভাপতি শাকিলা তামান্না, ময়মনসিংহ টেলিভিশন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি অমিত রায়সহ প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রসাশক খলিলুর রহমান বলেন, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে আমরা বিশ্বের অনেক দেশ থেকে এখনো অনেকটা পিছিয়ে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাল্য বিয়ে মুক্ত বাংলাদেশ গড়া হবে। প্রতিরোধ ব্রিগেড এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
বিগ্রেড উদ্ধোক্তা আবু জাফর রিপন বলেন, বিগ্রেড সদস্যদের পদচারনায় আজ ত্রিশালে কেউ বাল্য বিয়ের উদ্যোগ নেয়ার সাহস্য পায় না। উপজেলা প্রসাশন থেকে তাদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের একটি হটলাইন নাম্বারে তাদের তদারকি করা হয়। এ ব্রিগেড টিম বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে বাংলাদেশে রোল মডেল হত পারে।
বিগ্রেড টিম লিডার মাহবুবা আলম তৃপ্তি বলেন, আমরা সহপাঠিরা মিলে আমার ইউনিয়নে বাল্য বিয়ে, যৌন হয়রানি ও অবহেলিত জনপদে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আমার ইউনিয়ন আজ বাল্য বিয়ে মুক্ত। এই ইউনিয়ন বাল্য বিয়ে মুক্ত করতে কাওকে জেল বা সামাজিকভাবে হেয় হতে হয়নি।
বিডি প্রতিদিন/৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/হিমেল