চুরির অপবাদ দিয়ে নওগাঁর পত্নীতলায় শফিকুল ইসলাম (৩৫) নামে এক যুবককে উল্টো করে ঝুলিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শফিকুল ইসলাম উপজেলার মাটিন্দর ইউনিয়নের শিবপুর সুরহট্রি গ্রামের মৃত. মোহাম্মদ আলীর ছেলে। এ ঘটনার একটি ভিডিও গত শুক্রবার থেকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ঘটনাটি আলোচনায় আসলে আজ দুপুরে পুলিশ মাঠে নেমে ঘটনার মূল হোতা অভিযুক্ত নুরুনবী নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে। আটককৃত নুরুনবী উপজেলার আকবরপুর ইউনিয়নের ভগবানপুর গ্রামের এজাবুল হোসেনের ছেলে। সে আকবরপুর ইউনিয়ন পরিষদের তথ্যসেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার উপজেলার আকবরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে।
ফেসবুকে ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, শফিকুল ইসলামকে প্রথমে দুই পা বাঁধে এক ব্যক্তি। তারপর দুই পায়ের মাঝ দিয়ে বাশ ঢুকিয়ে তাকে দু'জনে কাধে নিয়ে উল্টো করে উঁচু করে ঝুঁলিয়ে রাখে। এরপর কালো গেঞ্জি পরিহিত নুরুনবী লাঠি দিয়ে শফিকুলের পায়ের তালুতে বেধড়ক পেঠাতে থাকে। এক পর্যায়ে শফিকুল লাঠির আঘাতের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে নির্যাতনকারী নুরুনবীর পা জড়িয়ে ধরে কাকুতি মিনতি করে। এরপরও নুরুনবী তাকে পেটাতে থাকে।
এবিষয়ে আজ বিকালে পত্নীতলা থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গত শুক্রবার ছিল উপজেলার আকবরপুর ইউনিয়নের মধইল হাটের দিন। সেখানে শফিকুল একজনের পকেট মারে- এমন সন্দেহে স্থানীয়রা তাকে উত্তম-মধ্যম দিয়ে ছেড়ে দেয়। পরবর্তীতে আবারও শফিকুলকে নুরুনবীসহ কয়েকজন মিলে ডেকে নিয়ে আকবরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে উল্টো করে বাশে ঝুলিয়ে অমানুষিক নির্যাতন চালায়। এরপর ভিডিওটি ফেসবুকে এক ব্যক্তি আপলোড করার পর আজ রবিবার বিকালে মাঠে নামে পুলিশ। এরপর ওই ঘটনার মূল হোতা নুরুনবীকে আটক করা হয়েছে। তার কথার সূত্র ধরে বিকালে ভিকটিম শফিকুল ইসলামকে শিবপুর সুরহট্রি গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ বিকাল সোয়া ৫টায় এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ঘটনার সত্যতা উৎঘাটনের চেষ্টা চলছে বলেও জানান পত্নীতলা থানার ওসি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার