বগুড়ার গাবতলীর রামেশ্বরপুর গ্রামে চাচাতো ভাইয়ের বাড়িতে মুরগী যাওয়া নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে আরেক চাচাতো ভাই সাবলু মিয়াকে (৪৫) পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে। নিহত সাবলু একই গ্রামের মৃত কাশেম পাইকারের ছেলে।
এঘটনার প্রতিবাদে সাবলু মিয়ার স্বজনরা হামলাকারীদের বাড়িঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। খবর পেয়ে গাবতলী ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ও থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং হত্যার ঘটনায় থানায় ৭ জনকে আসামি করে নিহত সাবলুর স্ত্রী শিউলি বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে।
বগুড়ার গাবতলী থানা পুলিশ জানায়, উপজেলার রামেশ্বরপুর ইউনিয়নের রামেশ্বরপুর গ্রামে শনিবার বিকেলে মুরগী যাওয়া নিয়ে সাবলু মিয়ার চাচাতো ভাইদের সঙ্গে বিরোধ বাধে। এসময় কথাকাটির এক পর্যায়ে চাচাতো ভাইয়েরা সাবলুর উপরে হামলা করে। এতে মারপিট ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত সাবলুকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাত ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সাবলু মিয়ার লোকজন রাতে প্রতিপক্ষ চাচাতো ভাইদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও গাবতলী ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিভিয়ে ফেললেও বাড়িঘর পুড়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও এ ঘটনায় জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, পারিবারিক বিষয়াদী নিয়ে সাবলু মিয়ার চাচাতো ভাইদের সঙ্গে ঝগড়ার এক পর্যায়ে মারপিটে আহত হয়। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করলে রাত ২টার দিকে সে মারা যায়। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুদ্ধ লোকজন রাতে হামলা চালিয়ে চাচাতো ভাইদের বাড়িঘরে আগুন দেয়।
বগুড়ার গাবতলী থানার অফিসার ইনচার্জ খায়রুল বাশার জানান, নিহতের স্ত্রী শিউলি বাদী হয়ে ৭ জনের নামে মামলা করেছেন। এই মামলার আসামি গ্রেফতারে অভিযান চলছে। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের সদস্যদের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার