মাদারীপুরের কালকিনিতে দেশী অস্ত্র ও হাত বোমাসহ খুনেরচর এলাকা থেকে ৯ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানায়। তবে গ্রেফতারের ৩৩ ঘন্টা পার হলেও আজ বেলা ১২টা পযন্ত আসামিদের আদালতে প্রেরণ করা হয়নি। এদিকে, আসামিদের ষড়যন্ত্রমূলক গ্রেফতার করে থানায় নির্যাতন করার পরও সঠিক চিকিৎসা না দিয়েই থানা রাখার অভিযোগ করেছে তাদের পরিবার।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার খাশেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি মহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে খুনেরচর গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাগান থেকে ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য খবির মৃধা, বাদল মৃর্ধা, মিন্টু সরদার, মান্নান খান, জসিম মৃর্ধা, আমিনুল, বাদল মৃর্ধা, খালেক সরদার ও রুহুল আমিন সরদারকে গ্রেফতার করে। এসময় তাদের কাছে থেকে ১১টি হাত বোমা, ৭টি রাম দা ও ১টি চুরি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, তারা যেকোন স্থানে হামলার পরিকল্পনা করেছিল।
ইউপি সদস্যের ভাই কবির মৃর্ধা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাই রাতে বাড়িতে ঘুমানো ছিল। রাত ২টার দিকে পুলিশসহ ও রাজন বেপারী, খবির সরদার, ইউনুস সিকদার, মকলেছ ফকির আলি, রতন, শহিদুল আমাদের বাড়িতে এসে ধরে নিয়ে যায়। আমার বাড়িতে পুলিশ অস্ত্রসহ আমার ভাইকে পেয়েছে এটা মিথ্যা কথা। শনিবার রাতে ধরে নেওয়ার পর কেন তাকে শারিরীক ভাবে নির্যাতন করা হল। প্রায় দুইদিন চলে যাচ্ছে এখনো আদালতে প্রেরণ করা হয়নি। আমার ভাইকে নির্যাতন করার পর পুলিশ হেফাজতে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হলেও এক্সরে করার কথা বললেও সেটা না করিয়েই থানায় নিয়ে যায়।
এ ব্যপারে খাসেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি মহিদুল ইসলাম আসমি গ্রেফতার করার পর বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে দেশী অস্ত্র-বোমা উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে চুরি-ডাকাতিসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে। আজ রবিবার দুপুর ১২টার দিকে বলেন, গতকাল আসামি গ্রেফতার করার পর আমরা তাদের কোন নির্যাতন করিনি। তবে একটা আসমি ধরতে গেলে একটু হস্তাহস্তি হতে পারে।এই কারণে একটু প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আর তাদের নামে মামলা ও কাগজপত্র তৈরি করতে একটু সময় লেগেছে তাই শনিবার রাতে তাদের কালকিনি থানায় প্রেরণ করা হয়। এরপর কী হয়েছে আমার জানা নাই।
এব্যপারে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা জানান, আসামিদের (১২টা)এখন আদালতে প্রেরণ করা হবে। তাদের নির্যাতনের কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার