কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার চৌধুরীকান্দি গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে জামাই নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহতের স্ত্রী ফরিদা বেগম, শ্বশুর তছলিম ভুইয়া, শাশুড়ি হোসনেয়ারা বেগম ও শ্যালক ইকরামুল হক ভুইয়াকে আজ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। নিহত মানিক মিয়া কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার খলিলপুর গ্রামের মর্তুজ আলীর ছেলে।
মানিক মিয়ার ভাই সাদেক মিয়া জানান, ১৫ বছর পূর্বে পাশের কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার খলিলপুর গ্রামের মর্তুজ আলীর ছেলে মানিক মিয়ার সাথে মুরাদনগর উপজেলার চৌধুরীকান্দি গ্রামের তছলিম ভুইয়ার মেয়ে ফরিদা বেগমের বিয়ে হয়। মানিক মিয়া মালদ্বীপ প্রবাসী। মালদ্বীপ থাকাকালীন তার উপার্জিত টাকা দিয়ে শ্বশুর বাড়ির পাশে ৫ শতক জমি ক্রয় করে। শ্বশুর বাড়িতে রাখা ৫ শতক জমি তার স্ত্রীর নামে লিখে দেওয়ার জন্য স্ত্রী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে চাপ সৃষ্টি করে। এনিয়ে গত ৬ মাস পূর্বে তাকে তার স্ত্রী ও শ্বশুর বাড়ির লোকেরা মারধর করে। এদিকে তার ক্রয়কৃত জমিতে তিন মাস পূর্বে ঘর তুলে জায়গা দখল করে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। ওই ঘটনার তিন মাস পর রবিবার সন্ধ্যায় মানিককে তার স্ত্রী ফরিদা বেগম ফোনে শ্বশুর বাড়িতে ডেকে আনে। রাতে তাকে মারধর করে মুখে বিষ ঢেলে চৌধুরীকান্দি গ্রামের একটি বাড়ির সামনে এনে ফেলে রাখে। সেখান থেকে দুই ব্যক্তি তাকে উদ্ধার করে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেখে পালিয়ে যায়। রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মানিক মিয়া মারা যায়।
সাদেক মিয়া আরো জানান, তার ভাই বিদেশে থাকাবস্থায় তার সকল টাকা পয়সা স্ত্রীর নামে পাঠাত। সে বাড়িতে তেমন যোগাযোগ রাখত না। দেশে আসার পর প্রায়ই শ্বশুর বাড়িতে থাকত। ছয় মাস পূর্বে তাকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন মেরে ফেলতে চেয়েছিল।
মুরাদনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আরজুন জানান, মুরাদনগর থানা পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠিয়েছে। এই ঘটনায় নিহতের ভাই মামুন মিয়া বাদী হয়ে স্ত্রী ফরিদা বেগমসহ নামধারী ৬ জন ও অজ্ঞাতনামা আরো ২-৩ জনের বিরুদ্ধে মুরাদনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার