শোকের সব পথ যেন মিশেছে খুলনার আইচগাতি বারপূন্যের মোড় এলাকায়। জেলখানা ঘাট থেকে ভৈরব নদ পার হলেই শোকাহত মানুষের ভিড় সদালাপী মানুষ আলিফুজ্জামানের (৩০) বাড়িতে।
নেপালের রাজধানী কাঠমুন্ডুতে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন খুলনার এই তরুণ ঠিকাদার। চার দিনের টুরিস্ট ভিসায় নেপালে একটি বাণিজ্য মেলায় যোগ দিতে গিয়েছিলেন তিনি। বিমানে চড়ার আগে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে বন্ধুবান্ধবদের সাথে যোগাযোগ করে আলিফ। বিমানের ছবিসহ দেয় সর্বশেষ স্ট্যাটাস। তাতে লেখা ছিল-‘বাই বাই খুলনা ... ওয়েলকাম ঢাকা।’
পরিবারের সদস্যরা জানায়, খুলনা থেকে বাসযোগে যশোর বিমানবন্দর যান আলিফ। পরে নভোএয়ার বিমানে ঢাকায় পৌঁছেন। সেখান থেকে তিনি ইউএস বাংলার বিমানে করে নেপাল রওয়ানা হন।
নিহতের বড় ভাই আশিকুর রহমান জানান, আলিফুজ্জামান খুলনা বিএল কলেজের মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্র। সামনেই তার পরীক্ষা ছিল। নেপালে কয়েকবন্ধুর আমন্ত্রণে চারদিনের টুরিস্ট ভিসায় সে সেখানে যায়। তিন ভাইয়ের মধ্যে আলিফ মেঝো। প্রিয় সন্তানের মৃত্যুর খবরে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন বাবা মোল্লা আসাদুজ্জামান ও মা মনিকা পারভীন। আকম্মিক এই মৃত্যুর খবর শুনে সন্ধ্যার পর থেকে আইচগাতির বাড়িতে ভিড় জমায় আত্মীয় স্বজন ও এলাকাবাসী।
নিহতের স্বজন আবু হোসেন বাবু জানান, আলিফুজ্জামান খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রনেতা ও বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন। তার এক বন্ধু ফারুক নেপালে আছেন। তিনি কাঠমন্ডু বিমান বন্দরে তাকে রিসিভ করতে আসেন। ফারুক আলিফের মৃতদেহ দেখে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার