ঐতিহ্যবাহী তিতাস বিধৌত বাঞ্ছারামপুর উপজেলার প্রাণের নদী ঢোলভাঙা’র অবস্থা এখন মুমূর্ষু। উপজেলার প্রাণকেন্দ্র দিয়েই বয়ে গেছে এই নদী। বাঞ্ছারামপুরবাসীর জীবনযাত্রার সাথে এই ঢোলভাঙা নদী গভীরভাবে সম্পৃক্ত। এক সময় নদীমাতৃক ও হাওরবিধৌত বাঞ্ছারামপুরের ব্যবসায়ীদের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম ছিল নদীটি। ড্রেজিংর অভাবে সেই নৌপথ আজ মৃতপ্রায়। অথচ নদীটির উপর ভর করেই গড়ে উঠেছে আজকের বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদর।
নদীটির মূল অংশের ত্রিমোহনায় মাটি ভরাট করে দখল করেছে কিছু প্রভাবশালী ভূমিদস্যু। গড়ে তুলেছেন স’মিল, সুরম্য বানিজ্যিক মার্কেট, পাইকারী বিক্রির জন্য বিভিন্ন প্রকার বাঁশ বাজার। সে বাঁশ নদী পথ বন্ধ করে নৌ চলাচলে ব্যহত করছে। বাজারের শত-শত ব্যবসায়ীরা নিত্যদিন ফেলছেন টন টন পলিথিনসহ বর্জ্য। ফলে দুষিত হচ্ছে পানি। ভরে যাচ্ছে নদীর তলদেশ।
এলাকার সংস্কৃতিকর্মী ও ব্যাংকার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘জীবন, জীবিকা, সংস্কৃতি, শিল্প-সাহিত্য সবকিছুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এই নদীটি। কিন্তু প্রকৃত অর্থে নদীটির জন্য এখনো কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। নদী রক্ষায় পদক্ষেপ থাকা তো দূরের কথা বরং আমরাই মেরে ফেলছি নদীটিকে। দূষণ ও দখলের কারণে অস্থিত্ব সংকটে পড়ছে নদীটি। বাঞ্ছারামপুরবাসী একদিন কাঁদবে এই ঢোলভাঙার জন্য।’
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.শরিফুল ইসলাম এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘বাজারের লোকজন যেনো নদীটিতে আর ময়লা-আবর্জনা না পেলে সেজন্য শীঘ্রই পদক্ষেপ নেবো। নদী খনন ও সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগে চিঠি লিখাসহ সংসদ সদস্য এবি তাজুল ইসলামকে ড্রেজিং করার ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হবে।’
বিডি প্রতিদিন/১৪ মার্চ ২০১৮/হিমেল