কক্সবাজারের টেকনাফে পৃথক অভিযান চালিয়ে ১০ লাখ ১০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে পুলিশ ও কোস্ট গার্ড। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত সেন্টমার্টিনসহ পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে এসব ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এসময় ইয়াবা বহনকারী বোটও জব্দ করা হয়। উদ্ধারকৃত ইয়াবার আনুমানিক মূল্যে ৪৪ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রনজিত কুমার বড়ুয়ার নেতৃত্বে টেকনাফ পৌর এলাকার কায়ুক খালী খালে অভিযান পরিচালনা করে সৈয়দ আলমের বরফ কলের সামনে থেকে এফ বি সাদিয়া নামক ফিশিং বোটে তল্লাশি চালিয়ে ৩ লক্ষ ৮০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
এ সময় পুলিশ উপস্থিতি টের পেয়ে উলেখিত বোটের মালিক ও মাঝি মাল্লা পালিয়ে যায়। ইয়াবা উদ্ধারের সংবাদ পেয়ে পুলিশ সুপারের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উখিয়া সার্কেল) চাইলাউ মারমা, সহকারী পুলিশ সুপার (ডি এস বি) শহীদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যান।
ওসি রনজিত কুমার বড়ুয়া জানান, আটককৃত ইয়াবার চালান পুলিশ কর্তৃক সর্ব বৃহৎ ইয়াবার চালান। আটককৃত ফিশিং বোটের মালিক ও মাঝি মালা এবং উদ্ধারকৃত ইয়াবার প্রকৃত মালিকের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান ক্রমে মামলা রজু করা হবে।
বোটটির মালিকানা নিয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ। তবে, স্থানীয়দের একটি সুত্রে জানা গেছে, জব্ধকৃত বোটটির মালিক টেকনাফ পৌরসভার কে কে পাড়ার আব্দুস সালাম। এ সময় পুলিশ উপস্থিতি টের পেয়ে উলেখিত বোটের মালিক ও মাঝি মাল্লা পালিয়ে যায়। ইয়াবা উদ্ধারের সংবাদ পেয়ে পুলিশ সুপারের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উখিয়া সার্কেল) চাইলাউ মারমা, সহকারী পুলিশ সুপার (ডি এস বি) শহীদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যান।
টেকনাফ থানার ওসি রনজিত কুমার বড়ুয়া জানান, আটককৃত ইয়াবার চালান পুলিশ কর্তৃক সর্ব বৃহৎ ইয়াবার চালান। আটককৃত ফিশিং বোটের মালিক ও মাঝি মাল্লা এবং উদ্ধারকৃত ইয়াবার প্রকৃত মালিকের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান ক্রমে মামলা রজু করা হবে।
এদিকে সহকারী গোয়েন্দা পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মারুফ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টার দিকে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বাহিনীর পূর্ব জোনের অধীনস্থ ষ্টেশান টেকনাফ কর্তৃক একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। উক্ত অভিযানে ছেড়াদ্বীপের সমুদ্রবর্তী এলাকা থেকে ৩ লক্ষ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। কোস্ট গার্ড সদস্যরা একটি সন্দেহ জনক বোট তল্লাশির উদ্দেশ্যে ধাওয়া করলে উক্ত বোটে থাকা লোকজন তিনটি বস্তা পানিতে ফেলে দ্রুত মিয়ানমারের সীমানার দিকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে উক্ত ভাসমান তিনটি বস্তা হতে ৩ লক্ষ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। জব্দকৃত ইয়াবা ট্যাবলেট গুলোর আনুমানিক মূল্য পনের কোটি।
এছাড়াও অপর একটি অভিযান পরিচালনা করে বুধবার রাতে গোপন সংবাদে ভিত্তিতে নাফ নদী দিয়ে মিয়ানমার থেকে একটি ইয়াবা ট্যাবলেটের চালান বাংলাদেশে প্রবেশকালে টেকনাফের শাহপুরী দ্বীপের জালিয়াপাড়া এলাকা হতে একটি কাঠের বোটসহ তিনটি বস্তা থেকে ৩ লাখ ৩০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। জব্দকৃত ইয়াবা ট্যাবলেট গুলোর আনুমানিক মূল্য ষোল কোটি পঞ্চাশ লক্ষ। উক্ত দুইটি অভিযানে জব্দকৃত ইয়াবাসসূহের সর্বমোট আনুমানিক মূল্য একত্রিশ কোটি পঞ্চাশ লক্ষ। জব্দকৃত ইয়াবাগুলো পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার