নাটোরের গুরুদাসপুরে অনুমোদনহীন মোল্লা আবাসিক হোটেলে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে হোটেল মালিকের ছেলেসহ তিন জনকে আজ আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হল- হোটেল মালিক ফরিদ মোল্লার ছেলে রুহুল আমিন (২৪), বোর্ডার নয়ন ইসলাম (২৭) ও তার প্রেমিকা (২৪)।
ওসি দিলীপ কুমার দাস তথ্যটি নিশ্চিত করে বলেন, আটককৃতদের আদালতে চালান দেওয়া হবে।
থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শহরের চাঁচকৈড় বাজারে ইটভাটা ব্যবসায়ী মো. ফরিদ মোল্লার অনুমোদনহীন ‘মোল্লা আবাসিক হোটেল’-এর ৩০৫ নম্বর কক্ষ ভাড়া নিয়ে মঙ্গলবার রাত যাপন করে বোর্ডার নয়ন ইসলাম ও তার প্রেমিকা। আজ সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই কক্ষে অভিযান চালায় পুলিশ। পরে তাদের উদ্ধার করে গুরুদাসপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় হোটেল ম্যানেজার মাহবুব হোসেন পালিয়ে গেলেও হোটেল মালিকের ছেলে রুহুল আমিনকে আটক করে পুলিশ।
জিজ্ঞাবাদে আটককৃত নয়ন পুলিশকে জানায়, তার বাড়ি পাবনার চাটমোহর উপজেলার বরদানগর গ্রামে। তার বাবার নাম মজনুর রহমান। সে পাবনা ল’কলেজের ছাত্র। তার প্রেমিকার বাড়ি একই উপজেলার শাহানগর গ্রামে। তার বাবার নাম জামাত আলী। সে বগুড়া আজিজুল হক কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর পরীক্ষা দিয়েছে। দুই বছর আগে তার প্রেমিকার অন্যত্র বিয়ে হয়। বিয়ের পর তার স্বামী বিদেশে চলে যাওয়ার পর তাদের সম্পর্ক গভীর হয়। সুযোগ বুঝে রাত কাটাতে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তারা ওই হোটেলে ওঠে। এজন্য তারা হোটেল ম্যানেজারকে বাড়তি টাকা দিয়েছিল। কিন্তু এমন পরিস্থিতির মুখে পরবে-এটা ভাবতে পারেননি তারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফরিদ মোল্লা এলাকার প্রভাবশালী ব্যবসায়ী। অনুমোদন না নিয়েই আবাসিক হোটেল ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। হোটেল ব্যবসার আড়ালে নানা রকম অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগও রয়েছে।
এব্যাপারে হোটেল মালিক ফরিদ মোল্লা দাবি করেন, ম্যানেজার মাহবুব হোসেন হোটেলটি পরিচালনা করতেন। ভালোমন্দ দেখভাল তিনিই করতেন। তবে তার ছেলে রুহুল আমিন এঘটনার সাথে জড়িত নেই। অন্যায় ভাবে তাকে আটক করেছে পুলিশ। তবে হোটেলের অনুমোদনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার