শিরোনাম
- অবসর ভেঙে দক্ষিণ আফ্রিকা দলে সাবেক অধিনায়ক
- বিয়ের দিনেই বিয়ে ভেঙে যায় হেমা মালিনীর
- ঢাকার বায়ুমানের অবনতি, বাতাসে বেড়েছে ক্ষতিকর কণা
- রাজধানীর কদমতলীতে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা
- রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি
- তিন বছরে দারিদ্র্য বেড়ে ২৮ শতাংশ
- ফ্যাসিস্ট আমলে গণমাধ্যম, বর্তমান অবস্থা : জনগণের প্রত্যাশা
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৬ আগস্ট)
- এ বছরই উত্তর কোরিয়ার নেতা কিমের সাথে দেখা করতে চান ট্রাম্প
- আজারবাইজানের মাধ্যমে রাশিয়া থেকে গ্যাস আনবে ইরান
- নিউইয়র্ক স্টেট সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হচ্ছেন প্রথম বাংলাদেশি-আমেরিকান নারী
- অতিরিক্ত শুল্ক এড়াতে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ ভারতের
- দুই যুবককে হত্যা-লাশ গুম, সাবেক ডিআইজির বিরুদ্ধে মামলা
- এনআইডি করতে এসে রোহিঙ্গা দম্পতি আটক
- হোপ নেটওয়ার্কে যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ
- ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন বানচালের নানা ষড়যন্ত্র চলছে : আমিনুল
- রোহিঙ্গা সংকট : যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গীকার ১১ দেশের
- ভালো মানুষের অভাবেই দুর্নীতি বাড়ছে: ব্রিটিশ ডেপুটি হাই কমিশনার
- ‘সৈরাচার আমলে ১২ দফায় সাড়ে তিন বছর জেল খেটেছি’
- প্রতিরক্ষা তহবিল আত্মসাতের অভিযোগে রুশ কর্মকর্তা গ্রেফতার
৪৬ বছরেও বিদ্যুৎ পৌঁছেনি
'আশপাশে কারেন্ট আইছে দেইখ্যা তাদেরও মন চায়'
ফুলপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
অনলাইন ভার্সন

ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার কুঁড়িপাড়া, নগরবেড়া পশ্চিম, বাঁশাটী উত্তর ও বাঁশতলা দক্ষিণসহ এক ইউনিয়নেই বেশ কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুৎ নেই। স্বাধীনতার ৪৬ বছর পেরিয়ে গেলেও তারা আজও দেখতে পাননি বিদ্যুতের মুখ। এতে ১০ হাজারের অধিক লোক ভোগান্তির শিকার।
কৃষির উপর নির্ভরশীল ওইসব এলাকার মানুষ বিদ্যুতের অভাবে নানা দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছেন। ছোট ছোট শ্যালো মেশিন দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের কৃষি কাজ। এতে দ্বিগুণ খরচ হওয়ায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত। তাদের ছেলেমেয়েদের যেমনিভাবে লেখাপড়ায় কষ্ট হচ্ছে তেমনভিাবে রান্নাবান্না ও গৃহাস্থলী কাজকামসহ ব্যবসা বাণিজ্যেও তারা পিছিয়ে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ওয়াহেদ আলী ও কামাল হোসেন জানান, বিদ্যুতের কারণে তারা উন্নয়নবঞ্চিত। বিদ্যুৎ থাকলে এলাকায় রাইস মিল, স’মিলসহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠতে পারতো। শাক-সবজি চাষসহ নানা ধরনের উন্নয়ন সম্ভব হতো। লাভবান হতে পারতো এলাকাবাসী।
সাবেক ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন ও মজিবুরের সাথে কথা বললে তারা জানান, আমরা অন্ধকারে আছি। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে ভাল জায়গায় একটা আত্মীয় পর্যন্ত করা যায় না। স্থানীয় ক্বারী ফজলুর রহমান বলেন, আমরার দিন তো গেছেই গা। ছেলেমেয়েরা তো এখন এভাবে থাকতে চায় না। আশপাশে কারেন্ট আইছে দেইখ্যা তাদেরও মন চায়। মেম্বার চেয়ারম্যানরা আশ্বাস দিয়া দিয়া যাইতাছে। কিন্তু এই ফরযন্ত বিদ্যুতের মুখ আর দেখতারলাম না।
কুঁড়িপাড়া গ্রামের মুসলিমা বেগম নামে এক গৃহিণী জানান, অহন ঝড় তুফানের দিন আইছে, কুফিবাতি দিয়া কাডাবাছা কিচ্ছু করা যায় না। বাতাসে হমানে বাতি নিভায়ালা। ওই একই গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে এইচএসসি পরীক্ষার্থী রাজিয়া খাতুন বিদ্যুতের কারণে খুব সমস্যায় আছেন বলে জানান। তিনি বলেন, রাত্রে একটুহ পড়তে পারি না। ভাল কইরা বই দেহা যায় না। পড়ন যায় না। অনেক কষ্ট করে পরীক্ষাগুলো দিতাছি।
ওইসব এলাকায় শীঘ্রই বিদ্যুৎ সরবরাহ বিষয়ে ফুলপুর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (ওএন্ডএম) নাজমুল হক তারেক বলেন, ওইসব গ্রামের লাইনগুলোর টেন্ডার হয়েছে। চলতি ২০১৮ বা ২০১৯’র শুরুতেই হয়ে যাবে। পল্লী বিদ্যুৎ ময়মনসিংহ-৩ এর জিএম সোহেল পারভেজ জানান, সরকার শতভাগ বিদ্যুতায়নের কাজ হাতে নিয়েছে। পর্যায়ক্রমে তারাও পেয়ে যাবে। একটু সময় লাগবে।
বিডি প্রতিদিন/১মে ২০১৮/ওয়াসিফ
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর

সরকারি চাকরির ১০-১২তম গ্রেডের নিয়োগে অপেক্ষমাণ তালিকা রাখা বাধ্যতামূলক করে পরিপত্র
১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতে ভুয়া পুলিশ ও গোয়েন্দা পরিচয়ে বাংলাদেশি পর্যটকদের হেনস্তা, গ্রেফতার ৩
২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম