নেত্রকোনার কলমাকান্দায় ১২ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাদ্দামকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার বিকালে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।
এর আগে, সোমবার বিকালে নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের কয়রা গ্রামে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে প্রথমে কলমাকান্দা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাতেই নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, কলমাকান্দার লেঙ্গুরা ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের ওই কিশোরী পার্শ্ববর্তী নাজিরপুর ইউনিয়নের কয়রা গ্রামে নানার বাড়িতে বেড়াতে আসে। সোমবার বৃষ্টির কারণে এলাকার নির্মাণাধীন একটি বাড়িতে আশ্রয় নিলে ওই গ্রামের মৃত-শাহ আলীর ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২৫) তাকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। এসময় তার চিৎকার চেঁচামেচিতে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে ধর্ষক পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কলমাকান্দা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ইসতিয়াক হাসান রোগীর অবস্থার অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। বর্তমানে ওই কিশোরী আশঙ্কামুক্ত হলেও চিকিৎসাধীন রয়েছে।
নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসাপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ফখরুল হাসান চৌধুরী ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা স্বীকার করেছেন।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে কলমাকান্দা থানা পুলিশ এলাকায় অভিযান চালিয়ে সোমবার রাতেই ধর্ষক সাদ্দাম হোসেনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে সোমবার রাতেই কলমাকান্দা থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুর রহমান জানান, আটক সাদ্দামকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/০১ মে ২০১৮/এনায়েত করিম
