ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে যাতায়তের প্রধান সড়কের ১০ কিলোমিটার জুড়ে বেশিরভাগ অংশেই খানাখন্দ। সড়ক দখল করে অবৈধ স্ট্যান্ড গড়ে উঠেছে। ঝুঁকিপূর্ণ সড়কের দু’পাশ ঘেঁষে যত্রতত্রভাবে বাহন রেখে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। নির্বিঘ্নে যাতায়াতে যাত্রী সাধারণের পাশাপাশি স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা অনেক সময় নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছাতে না পেরে বিড়ম্বনা শিকার হচ্ছেন।
দুর্ভোগের চিত্র থেকে জানা যায়,এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন উপজেলার দু’টি স্থলবন্দরের কয়লাবাহী ট্রাক ও দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল করে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে নাগলা, ধারা বাজার ও পৌর শহরের উপজেলা মার্কেট সংলগ্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে থ্রি-হুইলার মাহিন্দ্র, ইজি বাইকের স্ট্যান্ড। উপজেলার নাগলা চৌরাস্তা নামক স্থানে সড়কের দু’পাশ ঘিরে রয়েছে স্থায়ী-অস্থায়ী দোকানপাট। জনাকীর্ণ এলাকায় আগে থেকে রয়েছে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল,অটো বাইক ও সিএনজি স্ট্যান্ড। কিছু মাইল পাড়ি দিয়ে ধারা বাজার গন্তব্যে পৌঁছালে সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে দেখা মেলে মোটরসাইকেল, অটো বাইক ও সিএনজি’র ছোট বড় ষ্টেশন। লাগামহীন ষ্টেশনের ফলে দুটি স্থলবন্দর ও রাজধানী থেকে ছেড়ে আসা দূরপাল্লার যানবাহনগুলো যানজটের কবলে পড়ে থাকে।
একাধিক সূত্র জানায়, স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তিদের গড়ে তোলা তাদের কথিত স্ট্যান্ড থেকে মহাসড়কের বিভিন্ন রুটের পরিবহনের সাথে পাল্লা দিয়ে অবৈধ ভাবে সিরিয়াল করে চলে শতাধিক মাহিন্দ্র, থ্রি হুইলার। উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন সময়ে এদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করলেও সুনির্দিষ্টভাবে এদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
নিরাপদ যাতায়াতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের প্রতি জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী ও পথচারীরা।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, মহাসড়কের পাশে স্ট্যাড থাকা কোনভাবেই কাম্য নয়। তবে স্ট্যান্ডের পাশের দু’ধারে দোকানগুলোর ব্যবস্থা করতে পারলে যানজট ও দুর্ঘটনা কমে যাবে। এসব স্ট্যান্ডের বিরুদ্ধে যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/১লা মে ২০১৮/হিমেল