কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে অবস্থিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় পাহাড়ের পর পাহাড় থাকলেও কোনো সবুজের চিহ্নই যেন নেই। উখিয়া-টেকনাফের পাহাড়ি এলাকায় বসবাস করছে প্রায় ১৫ লাখ রোহিঙ্গা। তাদের জ্বালানির চাহিদা মেটাতে গত বছরের আগস্ট থেকে মাত্র চার মাসে উখিয়া-টেকনাফের ৫ বর্গকিলোমিটারের বনভূমি ও ফসলি জমি নষ্ট হয়েছে। যা ৮ মাসে দাঁড়িয়েছে ১০ বর্গকিলোমিটারে।
জ্বালানির বিকল্প ব্যবস্থা না হলে আগামী তিন বছরে উখিয়া টেকনাফে সবুজের আর কোনো চিহ্নই থাকবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বন কর্মকর্তারা। আর বনভূমি ও পাহাড় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অনেক বড় ক্ষতির সম্মুখীন হবে কক্সবাজার।
কক্সবাজারের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আলী কবির বলেন, দুই লাখ রোহিঙ্গা পরিবারের ৫ কেজি করে প্রত্যেকদিন ১০ লাখ কেজি জ্বালানির প্রয়োজন হয়। বিকল্প ব্যবস্থা না করা গেলে সবুজ থাকবে না এটা বলাই যায়।
সোলার প্ল্যান্ট ও বায়োগ্যাস জ্বালানির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন পরিবেশবিদরা। পরিবেশবিদ আ ন ম মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, সুয়ারেজ প্ল্যান্টটা সেন্ট্রাল করা গেলে সেখান থেকে যে জ্বালানি উৎপাদনের মাধ্যমে এ চাহিদা মিটতে পারে।
বিডি প্রতিদিন/৮ মে, ২০১৮/ফারজানা