এখন নানা কারণে সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কখনও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, কখনও শুল্ক নিয়ে নানা মন্তব্য তাকে শিরোনামে আসন করে দিয়েছে। কিন্তু এর মধ্যেই ভাইরাল ট্রাম্পের হাতের একটি ছবি। ওই ছবিতে দেখা গেছে, ট্রাম্পের হাতে কালশিটে দাগ। এই কালশিটে দাগ আগেও দেখা গিয়েছিল অন্য এক হাতে। যদিও সেটি ঢাকা ছিল মেকাপ দিয়ে। কিন্তু এবারের কালশিটে দাগটি আর ঢাকা নেই। তাই এবার প্রকাশ্যে এসেছে সেই চিহ্ন। এরপর গুঞ্জন উঠেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কি হৃদরোগে ভুগছেন?
হোয়াইট হাউসের দাবি, ট্রাম্প অ্যাসপিরিন খান, যা সাধারণত হৃদরোগ প্রতিরোধেই খেতে হয়।
কী বলছে হোয়াইট হাউস?
সমস্যা ছবি নিয়ে নয়। আসল বিষয়টি এর কাহিনিতে লুকিয়ে আছে। ক’দিন আগে হোয়াইট হাউস বিবৃতি দিয়ে জানায়, হাতের এই কালশিটে দাগের কারণ তাকে অত্যাধিক হ্যান্ডশেক করতে হয় ও নিয়মিত অ্যাসপিরিন খেতে হয়। এছাড়াও ত্বকের হালকা জ্বালাভাবের কারণেও এমন কালশিটে হয়ে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, অ্যাসপিরিন সাধারণত কার্ডিওভাসকুলার কোনও সমস্যা থাকলে খাওয়া হয়। কার্ডিওভাসকুলারের অর্থ হৃদরোগজনিত যেকোনও সমস্যা।
গুরুত্বহীন বলে দাবি হোয়াইট হাউসের
সোমবার হোয়াইট হাউসে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিউংয়ের ছবি তুলছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তখনই তার হাতের ছবি ভাইরাল হয়। হোয়াইট হাউসের চিকিৎসক ডা. শন বারবাবেলা এবং প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট অবশ্য এই কালশিটে দাগকে গুরুত্বহীন বলে দাবি করেছিলেন।
সংবাদ বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছিল, ঘন ঘন, জোরে করমর্দন এবং অ্যাসপিরিন খাওয়ার কারণে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের।
দীর্ঘস্থায়ী ভেনাস ইনসাফিসিয়েন্সি?
চিকিৎসকদের অনেকে এই সমস্যাকে দীর্ঘস্থায়ী ভেনাস ইনসাফিসিয়েন্সি বলে মনে করেন। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের মতে, এই অবস্থা খুব সাধারণ। বছরে প্রায় দেড় লাখ মানুষের হাতে এই সমস্যা দেখা যায়। বেশিরভাগ সময় শিরার ভালভ অক্ষম হয়ে গেলে এমনটা হয় বলে জানিয়েছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ। সূত্র: ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউকে
বিডি প্রতিদিন/একেএ