সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল শারা স্পষ্ট জানিয়েছেন, দেশটি কোনোভাবেই আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেবে না। তার দাবি, ইসরায়েলের সঙ্গে সিরিয়ার দ্বন্দ্ব অন্যান্য আরব দেশের মতো নয় কারণ গোলান মালভূমি এখনও দখল অবস্থায় রয়েছে।
সৌদি আরবের সাপ্তাহিক পত্রিকা আল-মাজাল্লায় প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে আল শারা বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতার জন্য জিরো-প্রবলেম নীতি জরুরি, তবে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রশ্নই আসে না।
তিনি বলেন, যেসব রাষ্ট্র আব্রাহাম চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, তাদের সঙ্গে ইসরায়েলের সরাসরি কোনো ভূখণ্ডগত সমস্যা ছিল না। কিন্তু সিরিয়ার ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আলাদা।
আল শারার মতে, সিরিয়ার অগ্রাধিকার এখন ১৯৭৪ সালের জাতিসংঘ-সমর্থিত গোলান মালভূমি নিয়ে বিচ্ছিন্নতা চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করা বা অনুরূপ একটি সমঝোতা গড়ে তোলা, যা আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধানে দক্ষিণ সিরিয়ায় স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে পারে।
আগামী সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ অধিবেশনে যোগ দেবেন প্রেসিডেন্ট আল শারা। ১৯৬৭ সালের পর এই প্রথম কোনো সিরীয় প্রেসিডেন্ট জাতিসংঘে ভাষণ দেবেন। তিনি এটিকে সিরিয়ার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পুনঃরায় সক্রিয় উপস্থিতির প্রতীক বলে আখ্যায়িত করেছেন।
তার ভাষ্যে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে সিরিয়ার সম্পর্ক ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট বলেন, সিরিয়ার কৌশল হচ্ছে—তীব্রতা প্রশমিত করা, বিরোধ মীমাংসা করা এবং পুনর্গঠনকে অগ্রাধিকার দেওয়া। শারা বলেন, আমরা আর কোনো যুদ্ধে জড়াব না। আমাদের লক্ষ্য স্থিতিশীলতা।
সূত্র: টিআরটি
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল