সাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে ও টানা ৩ দিনের ভারী বর্ষণে বান্দরবানের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বান্দরবান-কেরানী হাট সড়কের বাজলীয়া এলাায় প্রধান সড়কে কোমর সমান পানি উঠে যাওয়ায় সারা দেশের সাথে বান্দরবানের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
জেলা সদরের মেম্বার পাড়া, আর্মি পাড়া, শেরে বাংলা নগর, বরিশাল পাড়া, নাইক্ষ্যংছড়ি ও লামা উপজেলার নিন্মঞ্চল ও নদী পাড়ের হাজার হাজার ঘর বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। পাহাড় ধসের শঙ্কায় ঝুকিপূর্ণ এলকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
টানা বর্ষনে সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর বিপদ সীমার ৫ফুট উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তুমব্রু খালের পানি বেড়ে গিয়ে পাশ্ববর্তী রোহিঙ্গা ক্যাম্প পানিতে তলিয়ে গেছে।
গত শনিবার সকাল থেকে বান্দরবান জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়। সোমবার সকাল থেকে জেলা সদরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ইসলামপুর, বনানী স’মিল এলাকা, কবিরাজ পাড়া, আর্মি পাড়া, ওয়াপদা ব্রীজ এলাকা, কাশেম পাড়া সহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৫শতাধিক বসত ঘর পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকায় গৃহবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় শতাধিক পরিবার। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত এসব ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্কুল ও কমিউনিটি সেন্টার সহ বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।
এছাড়াও জেলার লামা উপজেলায় মাতামুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মাতামুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে লামা বাজার সহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অপরদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় বাকখালী নদীর পানিতে বাইশারী সহ বেশ কয়েকটি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে বন্যার পানিতে বাজালিয়া ও বালাঘাটার স্বর্ণ মন্দির এলাকায় সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় গতকাল সোমবার সকাল থেকে বান্দরবান-চট্টগ্রাম,কক্সবাজার,রাঙ্গামাটি এবং ঢাকাসহ সারা দেশের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
টানা ভারী বর্ষণে বিভিন্ন এলাকায় ছোট বড় অর্ধশত পাহাড় ধ্বসের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি। পাহাড়ের পাদশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদে আশ্রয় নিতে গত দুই দিন ধরে জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থরা এবং ও পাহাড় ধসের ঝুকিঁতে বসবাসকারীরা নিরাপদে আশ্রয় নিতে জেলা সদর সহ সকল উপজেলায় আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবেলা প্রতিটি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া পাহাড়ি এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে বেশ কিছু উদ্যোগও নেয়া হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ই-জাহান