ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া বাইরুর নেতৃত্বাধীন সরকারের ওপর থেকে আস্থা তুলে নিলো দেশটির আইনপ্রণেতারা। সোমবার সন্ধ্যায় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে অনুষ্ঠিত আস্থা ভোটে পরাজয়ের পর সরকারের পতন ঘটে। এর ফলে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ গত দুই বছরেরও কম সময়ে পঞ্চমবারের মতো নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেন।
আস্থা ভোটে বাইরুর বিপক্ষে ৩৬৪ জন আইনপ্রণেতা ভোট দেন, যেখানে তার পক্ষে সমর্থন দেন মাত্র ১৯৪ জন। এই ফলাফলের পর থেকেই দেশটিতে রাজনৈতিক সংকট আরও গভীর হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর কার্যালয় থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য আসেনি। তবে পরিস্থিতি সামাল দিতে তার হাতে বিকল্প খুবই সীমিত। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি নতুন একজন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের দিকেই ঝুঁকছেন। তবে নতুন প্রধানমন্ত্রীকেও একই ধরনের অনমনীয় পার্লামেন্টের মুখোমুখি হতে হবে, কারণ বর্তমান সংসদ কোনো একক দলকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেয়নি।
অন্যদিকে, নতুন করে জরুরি সাধারণ নির্বাচন দেওয়ার সম্ভাবনাও খুব কম। কারণ এতে আবারও একটি ঝুলন্ত সংসদ গঠিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এমনকি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ পদত্যাগ করতে পারেন, এমন চরম পরিস্থিতিও অসম্ভব নয়। যদিও তার অতীতের মন্তব্য থেকে এমন কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সংকট থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে বের করা ম্যাক্রোঁর জন্য বড় এক পরীক্ষা। ফ্রান্সে স্থিতিশীল সরকার গঠন এখন এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে দাঁড়িয়ে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল