কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে আইপিএল শুরু করেছিলেন ক্রিস গেইল। এরপর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুুরু এবং কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের মাধ্যমে আইপিএল ক্যারিয়ারের ইতি টানেন তিনি। আইপিএলে নিজের শেষ চার মৌসুমের সবকটিই খেলেছেন পাঞ্জাবের হয়ে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মারকুটে ব্যাটিংয়ের জন্য ‘ইউনিভার্স বস’ খ্যাতি পাওয়া গেইল অসম্মানিত হয়েছিলেন পাঞ্জাবের হয়ে খেলার সময়। আইপিএলের জনপ্রিয় এই ফ্র্যাঞ্চাইজির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনেছেন তিনি। পাঞ্জাবের এমন কাণ্ডে মানসিকভাবে ভেঙেও পড়েছিলেন গেইল।
২০১৮ সালে পাঞ্জাবে যোগ দেন গেইল। এরপর চার আসরে পাঞ্জাবের জার্সিতে খেলেছেন ৪১ ম্যাচ। করেছেন ১ হাজারের বেশি রান। নিজের শেষ মৌসুম অর্থাৎ ২০২১ সালে পাঞ্জাবের হয়ে ১০ ম্যাচ খেলেছিলেন সাবেক এই ব্যাটার। যদিও ওই সময়ে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারছিলেন না তিনি। ১০ ম্যাচে ২১.৪৪ গড় ও ১২৫.৩২ স্ট্রাইক রেটে ১৯৩ রান করেছিলেন গেইল।
পুরো টুর্নামেন্টে হাফ সেঞ্চুরি কিংবা সেঞ্চুরির দেখা পাননি ‘ইউনিভার্স বস’। এমন অবস্থায় টুর্নামেন্টের মাঝ পথেই আইপিএল ছেড়েছিলেন তিনি। ওই সময় করোনা ভাইরাস মহামারিতে জৈব সুরক্ষা বলয়ে হাঁপিয়ে ওঠার বিষয়টি সামনে এনেছিলেন। তবে কয়েক বছর পর পাঞ্জাব ফ্র্যাঞ্চাইজির বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযোগ তুললেন তিনি।
সম্প্রতি শুভঙ্কার মিশ্রের পডকাস্টে গেইল বলেন, পাঞ্জাবের সঙ্গে আমার আইপিএল সময় শেষের আগেই শেষ হয়েছিল। সত্যি বলতে, কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবে আমি অসম্মানিত হয়েছিলাম। আমার মনে হয়েছিল লিগের জন্য এত কিছু করা ও ফ্র্যাঞ্চাইজির মান বাড়ানোর পরও একজন সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে আমাকে ভালোভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি। তারা আমার সঙ্গে অনেকটা বাচ্চার মতো ব্যবহার করেছে। জীবনে প্রথমবার আমি মনে হচ্ছিল আমি হতাশায় ডুবে যাচ্ছি।
পাঞ্জাবের প্রধান কোচ অনিল কুম্বলের সঙ্গে হওয়া আলোচনা সামনে এনে ‘ইউনিভার্স বস’ বলেন, আমি কুম্বলেকে ফোন করে বলেছিলাম আমি দল থেকে চলে যাচ্ছি। অনিল কুম্বলের সঙ্গে কথা বলার সময় আমি ভেঙে পড়েছিলাম। কারণ আমি সত্যিই কষ্ট পেয়েছিলাম। আমি তার উপর হতাশ হয়েছিলাম। এমনকি ফ্র্যাঞ্চাইজিটি যেভাবে চলছিল সেটা নিয়েও। তখন লোকেশ রাহুল আমাকে ফোন করে বলেছিল, ক্রিস, তুমি থেকে যাও। পরের ম্যাচে তুমি খেলবে। কিন্তু আমি বলেছিলাম, তোমার জন্য শুভকামনা। তারপর আমি ব্যাগ গুছিয়ে বের হয়ে গিয়েছিলাম।
বিডি প্রতিদিন/কেএ