স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় মণ্ডপের নিরাপত্তায় একটি অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। পূজামণ্ডপে কোনো ঘটনা ঘটলে এর মাধ্যমে সঙ্গে সঙ্গে তা পরীক্ষা করা যাবে। একই সঙ্গে প্রতিকারের ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। উপদেষ্টা বলেন, সন্ধ্যা ৭টার আগে প্রতিমা বিসর্জন দিতে পূজা উদ্যাপন কমিটির প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। গতকাল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দুর্গাপূজা উপলক্ষে আয়োজিত এক প্রস্তুতি সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সারা দেশে আনুমানিক ৩৩ হাজারের মতো মণ্ডপে পূজা হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য রয়েছে। তালিকার বাইরেও মণ্ডপ করে, এটার লিস্ট আগে দিয়ে দিলে ওখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত রাখা সহজ হবে। সারা দেশের পূজামণ্ডপে নিরাপত্তা দিতে তিন লাখ আনসার সদস্য থাকবে। কিছু কিছু পূজামণ্ডপে পুলিশও থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রতিটি মণ্ডপে দিন ও রাতে নির্দিষ্ট সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক থাকবে। পাশাপাশি আনসার সদস্যরাও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পূজামণ্ডপের আশপাশে মেলা বসতে দেওয়া হবে না। পূজামণ্ডপের পাশে মেলা বসলে সেখানে গাঁজার আড্ডা বসে, মদের আড্ডা বসে। এবার কোনোভাবেই মেলা বসতে দেওয়া হবে না। তবে দু-একটা দোকান থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই পূজা উদ্যাপন কমিটির অনুমতি নিয়ে দোকান স্থাপন করতে হবে। উপদেষ্টা বলেন, এবার যেখানেই পূজামণ্ডপ বসানো হবে, সরকারের কাছে সেই তালিকা দিতে হবে। পূজা উদ্যাপন কমিটি থেকে একটি তালিকা সরকারের কাছে দেওয়া হয়। সেই তালিকা ধরে আইনশৃঙ্খলার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে তালিকার বাইরে পূজামণ্ডপ বসে। যেখানেই পূজামণ্ডপ করা হোক না কেন, সরকারকে তালিকা দিতে হবে।