নেপালে দুর্নীতি এবং বেশ কয়েকটি সামাজিক মাধ্যম অ্যাপের ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পেড়েছে ‘জেন-জি’ আন্দোলন। এতে আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশের গুলি বর্ষণে অন্তত ১৯ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় সময় রাত পৌনে সাতটায় এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দ্য হিমালয় টাইমস।
আন্দোলনে শতাধিক বিক্ষোভকারী, সাংবাদিক ও নিরাপত্তাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের অনেকেই রাজধানী কাঠমান্ডুর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। জানা গেছে, নেপালের রাজধানীতে ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা কারফিউ ভেঙে সংসদের কাছের সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশ করার পর সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে, পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বানেশ্বর ও আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কারফিউ জারি করেছে কাঠমান্ডুর জেলা প্রশাসন কার্যালয়। প্রধান জেলা কর্মকর্তা ছবি রিজালের সই করা কারফিউ ঘোষণায় জানানো হয়, স্থানীয় প্রশাসন আইন ২০২৮-এর ৬(এ) ধারা অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি নেপালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়। ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউবসহ ২৬টি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম বন্ধ রয়েছে।
এর আগে, এদিন সকালে রাজধানী কাঠমান্ডুর বাণেশ্বর এলাকায় প্রথম বিক্ষোভ শুরু হয় এবং অল্প সময়ের মধ্যে রাজধানীর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভ দমন করতে রাজধানী কাঠমান্ডুতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে সরকার। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সংঘাত হচ্ছে বিক্ষোভকারীদের।
বিডি-প্রতিদিন/শআ