'মি (আমি) আর ক'দিন বাঁচিম, মি (আমার) ৮০ বছরেও এক খান বয়স্ক ভাতার কার্ড পানুনি!' আঞ্চলিক ভাষায় এ কথা জানান ৮০ বছরর্ধ্ব অসুস্থ বৃদ্ধ গিয়াস উদ্দীন। গত ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে তার নাম বয়স্ক ভাতার অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকলেও রহস্যজনক কারণে নাম বাদ পরেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, জেলার প্রতিটি ইউনিয়নে হৃতদরিদ্রদের মাঝে ঈদ উপলক্ষে বিনামূল্যে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হলেও এই বৃদ্ধ এর আওতায় আসেননি।তিনি ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের লালাপুর জংগলবাড়ী গ্রামের মৃত হসরত আলীর ছেলে গিয়াস উদ্দীন ওরফে নুনু।
তার ৭ ছেলে ২ মেয়ে। বড় ছেলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। বাকি ৬ ছেলে দিন মুজুর। মেয়েদের অনেক আগে বিয়ে দিয়েছেন। ছেলে মেয়েরা নিজ নিজ সংসারে ব্যস্ত। স্বামী-স্ত্রী খুব কষ্ট করে চলেন। বয়সের ভারে শরীরে নানা রোগ বাসা বেধেছে দু'জনের। ১০ বছর যাবত শ্বাসকষ্টে হাটাহাটি করতে পারে না গিয়াস উদ্দীন। গ্রামে ছোট একটি দোকান। এটিই স্বামী-স্ত্রীর একমাত্র চলার পথ। এ দোকানের উপর খাওয়া খরচ ও ঔষধ ক্রয় করা কঠিন হয়ে পরেছে তার।
বয়স্ক ভাতা পাবার আশাই গত বছর গৃহায়ণ ও গণপুর্ত মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মো. দবিরুল ইসলাম এমপি'র সুপারিশ নিয়ে সমাজসেবা অফিসে জমা করেও তেমন কোন ফল হয়নি।
দুওসুও ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য রাসেদুজ্জামান জানান, বয়সের কারণেই তার নাম আমাদের বয়স্ক ভাতার তালিকায় রাখা হয়েছে।
দুওসুও চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম জানান, আমি ইউপি সদস্যের সাথে কথা বলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেয়ার ব্যবস্থা করে দেব।
উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. মোজাহারুল ইসলাম জানান, গিয়াস উদ্দীন বয়স অনুযায়ী তিনি বয়স্ক ভাতার কার্ড পাওয়ার যোগ্য বলে আমি মনে করি।সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে বলে আমি ব্যবস্থা করার চেষ্টা করব।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার