বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা নয়। সে পাকিস্তানের গুপ্তচোর ছিল। ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন যুদ্ধ বিধ্বস্ত এদেশের আইন প্রনয়নসহ উন্নয়নের সর্বক্ষেত্রে ভিত্তি স্থাপন শুরু করে। ঠিক সেই মূহুর্তে স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর জানাযায় কাউকে অংশগ্রহণ করতে দেয়া হয়নি এবং কোন শোক দিবস পালন করতে দেয়া হয়নি।
শুধু তাই নয়, খুনি জিয়ার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালীন ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট মানিক মিয়া এভিনিউতে আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ সভায় শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা করে অনেক তাজা প্রাণ কেড়ে নেয়। অনেকে এখনো আঘাত নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। সে দিনের আঘাতপ্রাপ্ত নারী নেত্রী আইভি রহমান যখন ২৪ আগস্ট মারা যায়। সে সেময় তার পুত্র পাপনকে তার মায়ের লাশ দেখতে দেয়া হয়নি। তাকে নির্দয় ভাবে হাজতে আটক করে রাখা হয়েছিল।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় কঠিন সময়কে জয় করে এসেছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন। যদি কেউ এই নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে, তাহলে তার জন্য কবর রচনা হবে।
শুক্রবার সকালে দিনাজপুরের বিরল উপজেলা পরিষদ মিলানায়তনে উপজেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও ২৪ আগস্ট আইভি রহমানের শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা এবং দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সারোয়ারুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ঈদ্রিস আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আব্দুস সবুর, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার রহমান আলী প্রমুখ।
এছাড়া কৃষক লীগের সভাপতি সাবেক এমপি মজিবর রহমান, মহিলা লীগের সভাপতি কুলছুমা বেগম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সফিকুল ইসলাম সফিক, যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মালেক ও ছাত্রলীগের সভাপতি সারোয়ারুল ইসলাম রাসেল বক্তব্য রাখেন।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন