বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার জোড়গাছা ইউনিয়নের পূর্ব ও পশ্চিম করমজা গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া সুখদহ নদীর উপর দীর্ঘদিনেও ব্রীজ নির্মাণ হয়নি। ব্রীজ নির্মাণ না হওয়ায় স্থানীয়রা বাঁশ দিয়ে সাঁকো তৈরী করে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। ৭ বছর ধরে উপজেলা প্রশাসনে ব্রীজ নির্মাণের জন্য দাবি জানালেও কোন ব্রীজ নির্মাণ হয়নি।
স্থানীয়রা কৃষিপণ্য পারাপারে ও স্কুল শিক্ষার্থীদের সুবিধার্তে সুখদহ নদীর উপর বাঁশের সাঁকো তৈরী করা হয়েছে। ওই এলাকার ৭ গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে পারাপার হচ্ছে। দুর্ভোগে থাকা গ্রামের বাসিন্দারা সেখানে একটি ব্রীজ নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন।
সোনাতলা উপজেলার জোড়গাছা ইউনিয়নের বাসিন্দারা জানান, উপজেলার পূর্ব করমজা, পশ্চিম করমজা, শেখাহাতি, চকরাধিকা, ধলিরচর, গনসারপাড়া, গ্রাম করমজাসহ বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। নদীতে শুষ্ক মৌসুমেও পানি থাকায় এলাকাবাসীদেরকে ঘুরে আসতে হয় ৩ থেকে ৪ কিলোমিটার পথ। এতে পথচারীদেরকে গন্তব্য স্থানে পৌঁছাতে সময় ও অর্থ দ্বিগুণ খরচ হয়। তাই স্থানীয়রা প্রায় ১ বছর পূর্বে সেচ্ছাশ্রমে নিজেরা বাঁশ দিয়ে সাঁকো নির্মাণ করে। এরও প্রায় ৬ বছর আগে উপজেলা পরিষদে মৌখিকভাবে একটি ব্রীজ নির্মাণের দাবী জানিয়ে আসছে। কিন্তু বিষয়টি সঠিক নিয়মের মধ্যে আবেদন না হওয়ার কারণে সেটি থেকেছে অবহেলিত। দিনের পর দিন অবহেলিত থাকায় এলাকার মানুষগুলো পোহাচ্ছে চরম দুর্ভোগ। এলাকায় উৎপাদিত কৃষি পণ্য পারাপারে ৩ থেকে ৪ কিলোমিটার ঘুরে নিয়ে যায়। কৃষির বড় ফলন হয়ে থাকে ধান, মরিচ ও পাটের। এসব পারাপারে এলাকার কৃষকরা দুর্ভোগ পোহান। একই সাথে স্থানীয় স্কুলে যেয়ে থাকে গ্রামের প্রায় শতাধিক প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষার্থীরা। এই শিক্ষার্থীরা নদীর পানি ডিঙ্গিয়ে পার হতে গিয়ে কোন দুর্ঘটনার স্বীকার যাতে না হয় সে কারণে স্থানীয়রা এই বাঁশের সাঁকো তৈরী করেন।
বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার জোড়গাছা ইউপি চেয়ারম্যান রোস্তম আলী মন্ডল বলেন, ওই ব্রীজটি এলাকার জনগণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয় সংসদ সদস্যের সাথে আলোচনা করে ব্রীজ নির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এলাকার মানুষ বিষয়টি জানিয়েছে।
সোনাতলা উপজেলা প্রকৌশলী ওবাইদুর রহমান জানান, বিষয়টি তার জানা ছিল না। ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে একটি প্রতিবেদন তৈরী করা হবে। উপজেলায় বেশ কিছু উন্নয়ন কাজ চলছে। সেখানে স্থায়ী ব্রীজ নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানানো হবে।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন