ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন উপজেলার সদর ইউনিয়নে পদ্মার ভাঙ্গন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। ভাঙ্গনের কবলে পড়ে ইতোমধ্যে হারিয়ে গেছে অর্ধশতাধিক বসতবাড়ী, স্কুল, মাদ্রাসা,পাকা-কাঁচা সড়কসহ কয়েকশ একর ফসলি জমি। গত কয়েকদিনের ভাঙ্গনে হুমকির মুখে পড়েছে চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদসহ অসংখ্য স্থাপনা। নদী ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করায় চরভদ্রাসন উপজেলাবাসী আতঙ্কের মধ্যদিয়ে দিন কাটাচ্ছে।
এদিকে, নদী ভাঙ্গন ভয়াবহ আকার ধারণ করায় নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া। গত শুক্রবার ও শনিবার সকাল সাতটার দিকে তিনি চরভদ্রাসন উপজেলা নদী ভাঙ্গন কবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি এমপিডাঙ্গী স: প্রাথমিক বিদ্যালয় রক্ষায় ডাম্পিং কাজের অগ্রগতি দেখার পাশাপাশি,বালিয়া ডাঙ্গী,ফাজেলখার ডাঙ্গী ভাঙ্গন এলাকায় দ্রুত ডাম্পিং করার পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা বলেন পাউবো প্রতিনিধিকে। এ সময় তার সাথে ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রোকসানা রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুন নাহার, উপজেলা চেয়ারম্যান এজিএম বাদল আমিন, সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আজাদ খান, পাউবো উপ-সহকারী প্রকৌশলী জহিরুল হক প্রমূখ।
সম্প্রতি নদী ভাঙ্গনে উপজেলার ভাঙন এলাকায় কয়েক ধাপে বালুর বস্তা দিয়ে ডাম্পিং করলেও গত ২ মাসে তীব্র স্রোতের তোরে ফাজেলখার ডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এমপিডাঙ্গী স্কুল সংলগ্ন ৬০ মিটার পাকা সড়ক,বালিয়া ডাঙ্গীর একটি মসজিদ,কয়েক হাজার গাছপালা, ফসলী জমি ও প্রায় অর্ধশতাধিক বসত ভিটা নদীগর্ভে সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে। চরভদ্রাসন সদর বাজার সংলগ্ন সরকারী কলেজ,বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে পদ্মার দূরত্ব রয়েছে মাত্র ৯৫০ মিটার। বর্তমানে ভাঙ্গনের কবলে পড়ে চরভদ্রাসন উপজেলার মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে বেশ কয়েকটি গ্রাম।
বিডি-প্রতিদিন/ ই-জাহান