নাটোরের গুরুদাসপুরে পুলিশ পেটানোসহ সরকারি কাজে বাধাদান মামলায় আওয়ামী লীগের ৪৫ নেতাকর্মীকে কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত। গুরুদাসপুর পৌর ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ৪৫ নেতাকর্মী আজ বুধবার নাটোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে (গুরুদাসপুর) হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মো. মমিনুল ইসলাম তাদের আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।
আদালত ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১১ মে উপজেলা পরিষদে মাসিক সমন্বয় সভার দিন ধার্য ছিল। সভায় বিশৃখংলা হতে পারে-এমন আগাম সর্তকবাণী পেয়ে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়। ওই সভায় নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসসহ দলীয় নেতাকর্মীদের উপস্থিত থাকার কথা। কিন্তু তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ এবং তার সমর্থকরা প্রায় দুই শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে উপজেলা চত্বরে এসে শো-ডাউন দিতে থাকে।
এসময় পুলিশ তাদের নিষেধ করলেও তারা তা শোনেনি। এক পর্যায়ে তাদের বাধা দিতে গেলে তারা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। এসময় দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ পুলিশ লাঠি চার্জসহ ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিন পাঁচ পুলিশসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়। এঘটনায় গুরুদাসপুর থানার তৎকালীন এসআই সাইদুজ্জামান বাদী হয়ে মেয়র শাহনেওয়াজ মোল্লাসহ আওয়ামী লীগের ৬৬ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ আলী দাবি করেন, ওই মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় তিনিসহ সকলেই হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছেন। ইতিপূর্বে হাইকোর্টের নির্দেশনানুযায়ী কয়েকজন নিম্ম আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিন নিয়েছেন।
গুরুদাসপুর আদালতের কোর্ট জিয়ারু (ইন্সপেক্টর) শফিকুল ইসলাম ৪৫ জনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, হাইকোর্টের জামিনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তাদের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ বিচারক।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার